নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম গুলো জানুন

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম| বর্তমান যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে| প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সকল বিষয়গুলো সহজ হয়ে উঠেছে| তার মধ্যে উদাহরণসহ একটি হলো| নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম বা যাচাই করার প্রক্রিয়া| প্রতিটি নাগরিকের আইডি কার্ড থাকা প্রয়োজন দেশের সকল সেবা গ্রহণ|

নাম্বার-দিয়ে-আইডি-কার্ড-চেক-করার-নিয়ম

তথ্য যাচাই করা অনেক জরুরী নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়মটা| মানুষের সময়, খরচ ও শ্রমকে কমিয়ে তুলেছে| এটির মাধ্যমে ভুয়া পরিচয়পত্র প্রতিরোধ করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে|

পেজ সূচিপত্র: নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

আপনার আইডি কার্ড বা ভোটার নিবন্ধন ফরম এর নাম্বার ব্যবহার করার| মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই অথবা ডাউনলোড করতে পারবেন| আপনার জন্ম তারিখ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে আইডি কার্ড যাচাই করা যায়| যাচাই করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে| বাংলাদেশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নির্বাচন কমিশনে এ যান| কিন্তু সেখানে যদি আপনার একাউন্ট খোলা না থাকে|  তাহলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তারপর সেখানে জন্ম তারিখ এনআইডি নাম্বার সহ|

আরো যে তথ্যগুলো প্রয়োজন সেগুলো দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করুন| আর যদি আইডি কার্ডের নম্বর না থাকে তাহলে ভোটার নিবন্ধন ফমের ওপর যে নম্বর দেওয়া থাকে| সেটির মাধ্যমেও আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারা যায়| নতুন ভোটার হয়ে থাকলে আপনি যদি আইডি কার্ডের নাম্বার না জেনে থাকেন| তাহলে SMS এর দ্বারা জানতে পারা যাবে তার জন্য মোবাইল মেসেজের অপশনে গিয়ে|

আরো পড়ুন:

দেখবেন ১০৫ নাম্বার থেকে আপনার মোবাইলে SMS পাঠানো হয়েছে| আর সেখানে আইডি কার্ড নাম্বার জানতে পারবেন| তাছাড়া মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে Nid যাচাই করা যায়| তার জন্য প্লে স্টোর থেকে Nid Wallet অ্যাপস ইনস্টল করার পর সেখানে নতুন একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন|

আর সেখানে আপনার আইডি কার্ডের যে সকল তথ্য গুলো রয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন| আর সতর্ক থাকবেন যেন আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার ও অন্যান্য যে সফল ব্যক্তিগত তথ্যগুলো রয়েছে| সেগুলো অনুমোদিত প্ল্যাটফর্মে অথবা নির্ভরযোগ্য মানুষের কাছে রাখবেন|

SMS এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের ধাপসমূহ

SMS এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা করার কিছু সহজ পদ্ধতি ও কার্যকরী উপায় রয়েছে। সেগুলো এখন আমরা নিচে আলোচনা করব|

আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে মেসেজ বক্সে গিয়ে ক্লিক করুন| সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিন তারপর সেই মেসেজ ১০৫ নম্বরে টাইপ করে পাঠিয়ে দিবেন| তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন আর সে মেসেজের রিপ্লাই আপনাকে পাঠানো হবে| রিপ্লাই মেসেজের মধ্যে আপনার নাম ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ইত্যাদি| সহ আরো অন্যান্য কিছু তথ্য দেওয়া থাকবে সেগুলো সঠিকভাবে আপনি মিলিয়ে নিবেন|

টেলিকম কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি SMS পাঠানোর| একটি নির্ধারিত চার্জ রয়েছে আর SMS পাঠানোর সময় সেই চার্জ তারা কেটে নেবে| আর যদি দেখেন কোনো তথ্য ভুল রয়েছে তাহলে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য| আপনি নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন |

ভুল তথ্য গুলো সমাধান করার জন্য সেখানে কিছু ফ্রি লাগে| আর কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার আছে| সেগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন তাহলে তারাই আপনার সকল ভুল সংশোধন করে দিবে| অথবা আপনি নির্বাচন কমিশন অফিসের যে হেল্প লাইন নাম্বার রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারবেন|

আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য মোবাইল নাম্বারের ব্যবহার

জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য মোবাইল নাম্বারের ব্যবহার করার| যে পদ্ধতি গুলো রয়েছে সেগুলো এখন আমরা ব্যাখ্যা করব| মোবাইলের মেসেজ অপশনে প্রবেশ করার পর সেখানে নতুন একটি মেসেজ লিখতে হবে| আপনি যদি আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য আপনাকে আইডি কার্ডের নাম্বার ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে| মেসেজে তারপর সেটিকে সঠিক নম্বর বলতে ১০৫ নম্বরে পাঠানো লাগবে| তারপর নির্বাচন কমিশন অফিসের ডাটাবেজ থেকে সেই মেসেজের আপনাকে রিপ্লাই দেওয়া হবে|

নাম্বার-দিয়ে-আইডি-কার্ড-চেক-করার-নিয়ম

আর মেসেজের মধ্যে আইডি কার্ডের তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকবে| তারপর সবকিছু মেলানোর পর যদি মিলে যায়| তাহলে সে মেসেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান করবেন| তবে কোন ভুল হয়ে থাকলে মেসেজের রিপ্লাই আপনি যেটা ভুল হয়েছে| সেটা লিখে আবার মেসেজ পাঠাবেন মোবাইলের মাধ্যমে পাঠানো| সকল মেসেজের নির্দিষ্ট একটি চার্জ প্রযোজ্য করা থাকে| যেমন একটি মেসেজে সাধারণত দুই থেকে তিন টাকা চার্জ কাটে|

সমস্যা হয়ে থাকলে যেমন সিস্টেমে কোন সমস্যা বা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন| তাহলে আপনি নির্বাচন কমিশন অফিসের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করবেন| এগুলো করার পূর্বে কিছু সতর্কতা রয়েছে যেমন আপনার ফোনে মেসেজ পাঠানোর| মত যথেষ্ট পরিমাণে ব্যালেন্স রয়েছে কিনা সেটি চেক করে নেবেন| তারপর আইডি কার্ডের নাম্বার ও জন্মতারিখ সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন| যদি ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু উত্তর পাবেন না।

জন্মতারিখ ও আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই

জন্মতারিখ ও আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা যায়| তার জন্য কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো সরকারি অনুমোদিত সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে| এটি করার কারণ তথ্য সঠিক নিশ্চিত ও ব্যক্তির শনাক্তকরণ করার জন্যে| এখন আমরা কিছু প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব|

তথ্য যাচাই করার প্রধান উদ্দেশ্য হল যখন আপনি সরকারি সেবা গ্রহণ| যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট করবেন| আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, শিক্ষার ক্ষেত্রে অথবা চাকরির জন্য| আর চিকিৎসা সংক্রান্ত করার প্রয়োজনে এগুলোর দরকার রয়েছে|

তথ্য যাচাই ধাপ:

তথ্য যাচাই ধাপ প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে| যেমন মোবাইল অ্যাপস বা সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, সরাসরি অফিসে গিয়ে যাচাই, ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা ইত্যাদি| জাতীয় সরকারি ওয়েবসাইট থেকে আইডি কার্ড সংক্রান্ত করুন| তার জন্য কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়| যেমন আইডি কার্ডের নম্বর ও আপনার জন্ম তারিখ এগুলো সহ| আবার মোবাইল নাম্বারে ওটিপি কোড পাঠানোর মাধ্যমে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়|

আরো পড়ুন:

তারপর যখন তথ্যগুলো দেখবেন সেই সিস্টেম থেকে| আপনার নাম অন্যান্য তথ্য সহ আপনার ঠিকানা দেখতে পাবেন| সরকারি অফিসে যাওয়ার পর সেখানে যাচাই করার জন্য জন্ম সনদের ও আইডি কার্ডের ফটোকপির প্রয়োজন| তারপর অফিসে গিয়ে আপনাকে তথ্য যাচাই করার জন্য আবেদন করতে হবে|

তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটরদের বা ব্যাংকের মাধ্যমে এটি যাচাই করা যায়| তার জন্য সেখানে জন্ম তারিখ ও এনআইডি কার্ডের নাম্বার দেওয়ার পর| তারা সরকারি ওয়েবসাইট বা ডাটা বেজে তথ্য যাচাই করে থাকে|

সতর্কতা

কারো সঙ্গে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার অথবা জন্ম তারিখ শেয়ার করার| পূর্বে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি কি নিরাপদ| আর তথ্য যাচাই করার জন্য শুধু সরকারি অনুমোদিত যে সকল প্ল্যাটফর্ম গুলো অনুমোদিত রয়েছে| তাদের মাধ্যমে করা উচিত অথবা কেউ যদি আপনার তথ্যটি যাচাই করতে চেয়ে থাকে| তাহলে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা নিবেন| তারপরও যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যান| তাহলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন অফিসের হেল্পলাইনে গিয়ে যোগাযোগ করবেন|

অনলাইন দিয়ে আইডি কার্ডের তথ্য চেক করার পদ্ধতি

অনলাইনে দিয়ে আইডি কার্ডের তথ্য চেক করার বিভিন্ন দেশের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে| কিন্তু সাধারণত বাংলাদেশের আইডি কার্ডের তথ্য চেক করার জন্য নির্দিষ্ট| কিছু পদ্ধতির রয়েছে যেগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে| এবার জানবো সে সকল পদ্ধতি সম্পর্কে|

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট: বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে| আইডি কার্ডের তথ্য অনলাইনে চেক করার জন্য সুবিধা প্রদান করে থাকে| তার জন্য কিছু পদ্ধতি রয়েছে প্রথমে আপনাকে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে| তারপর সেখানে অনলাইন সার্ভিস অংশে চাপ দিতে হবে| এরপর আপনার আইডি কার্ডের নম্বর সহ আরো যে সকল তথ্যগুলো প্রয়োজন সেগুলো সঠিকভাবে দিতে হবে|

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার: বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এমন একটি মোবাইল অ্যাপস প্রদান করেছে| যা দিয়ে আপনার আইডি কার্ডের সকল তথ্য চেক করা যাবে| অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন| এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করার পর অ্যাপসের ভেতর ঢুকে আপনার আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে| তারপর আপনি আপনার আইডি কার্ডের সকল তথ্য চেক করে দেখতে পারেন|

মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্য ঠিক করা যায়| এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস এই সুবিধা প্রদান করেছে। তার জন্য আপনার আইডি কার্ডের নম্বর টাইপ করে ১৬৩২১ এ নাম্বারে এসএমএস পাঠাতে হবে| তার কিছুক্ষণ পর আপনার মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে আইডি কার্ডের তথ্য চেক করতে পারবেন| তাছাড়াও আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার না করেও আপনার টেলিটক সেবার মাধ্যমে|

আইডি কার্ডের তথ্য চেক করতে পারেন তবে সতর্ক থাকবেন| কারণ আপনি যে কোন ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের তথ্য চেক করার| পূর্বে সেটি সুরক্ষিত কিনা সে বিষয়ে জেনে নিবেন| আর ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে সাবধানে থাকবেন| আর এভাবেই অনলাইনে মাধ্যমে আইডি কার্ডের তথ্য চেক করা যায়|

ডিজিটাল নিয়মে আইডি কার্ড যাচাইয়ের নিরাপদ ব্যবস্থা গুলো

ডিজিটাল নিয়মে আইডি কার্ড যাচাইয়ের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষিত ব্যবস্থা আছে| যা যাচাই প্রক্রিয়াকে নির্ভুল ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে| এখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ ব্যবস্থা গুলো  ব্যাখ্যা করব|

TLS Encryption

TLS এনক্রিপশন প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ডেটা আদান প্রদানের সময় আমাদের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে | আর নিশ্চিত করে তৃতীয় পক্ষ আমাদের তথ্য সহজে চুরি করতে পারবে না| এখন জানবো এটা কিভাবে কাজ করে? আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটে আইডি কার্ডের তথ্য প্রদান করে থাকেন| তখন সেই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার তথ্যগুলো নিরাপদ রাখে| আর তৃতীয় পক্ষ সেই তথ্যগুলো চুরি করতে বা দেখতে পাই না|

2 Factor Authentication

2 Factor Authentication এটি অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে থাকে| আর পাসওয়ার্ডের সঙ্গে সঙ্গে কোড ব্যবহার করতে হয় এটি কিভাবে কাজ করে| জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার সময় লগইন করা হয় | তখন সেখানে প্রথমে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা লাগে| তারপর সিস্টেম থেকে আপনার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে কোড পাঠাবে| যে কোড দেওয়ার পর আপনি সেই সিস্টেমে ঢুকতে পারবেন| এটি নিশ্চিত করে শুধু পাসওয়ার্ড জানলে তথ্য চুরি করা যাবে না|

বায়োমেট্রিক যাচাই

ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফেস রিকগনশন ব্যবহার বা রেটিনা স্ক্যান এগুলোকে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের পদ্ধতি বলে| এটি কাজ করে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা চোখের আইরিস স্ক্যান তাদের সিস্টেমে সংরক্ষিত করে রাখে | আর যখন আপনি লগইন করেন সে সময় তা ব্যবহার করতে হয়| আর এটি আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখতে নিশ্চিত করে|

এগুলো শুধুমাত্র আপনার কাছে রয়েছে তার জন্য এর মাধ্যমে | ভুয়া ব্যবহারকারীরা কোনভাবেই সে সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে না| এবং তথ্যগুলো চুরি করতে পারবে না| আর এই ডিজিটাল ভাবে আপনি আপনার সকল তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন|

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করা

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে| জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করার পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ার ফলে আপনি খুব সহজে| আপনার সকল তথ্য গুলো যাচাই করতে পারবেন| অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য চেক করার কিছু পদ্ধতির নিচে দেওয়া হল|

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্য চেক করা: তার জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে| প্রবেশ করার পর সেখানে অনলাইন সার্ভিস শিরোনামটি খুঁজে বের করে| সেখানে ক্লিক করা লাগবে আর সেখানে অন্যান্য তথ্য গুলোর সঙ্গে সঙ্গে| আপনার আইডি কার্ডের নম্বর প্রদান করা লাগে| এছাড়া আইডি কার্ডের নম্বর না দিয়ে জন্ম তারিখ ব্যবহার করতে পারেন|

আরো পড়ুন:

নিরাপত্তার জন্য সেখানে ক্যাপচা কোড চাইলে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে| সকল তথ্য পূরণ করার পরে সাবমিট বাটনে চাপ দিলে| কিছুক্ষণ পর আপনার আইডি কার্ডের সকল তথ্য| যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি স্ক্রিনের উপর উঠে যাবে| আর নিশ্চিত করবেন যে সরকারি ওয়েবসাইট আপনি ব্যবহার করছেন তাহলে তথ্যগুলো চুরি হবে না|

অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য চেক করা: বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে| তারা এন আই ডি ওয়ালেট নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন| যেটা আপনি স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন| আর এর মাধ্যমে আপনার তথ্যগুলো যাচাই করা যাবে| গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড বা ইনস্টল করার পর| তার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে আইডি কার্ডের নাম্বার ও জন্ম তারিখ দেওয়া লাগবে|

সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যগুলো দেখতে পাবেন| যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ছবি ইত্যাদি সবগুলোই| আর নিরাপত্তার জন্য এই অ্যাপসটি ব্যবহার করুন| এবং তৃতীয় পক্ষের কোন অ্যাপস ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন যাতে তথ্যগুলো চুরি না হয়| তাছাড়া টেলিটক সেবা ও মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্য চেক করা যায়|

আইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করার নিয়ম

আইডি কার্ডের ভুল তথ্য সংশোধন করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আমরা এখন যে উপায় গুলো উল্লেখ করব| সেগুলো অনুসরণ করে আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করা যাবে|

অনলাইনে আবেদন: আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করার জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসে অনলাইনে আবেদন করা লাগবে| তার জন্য যে ধাপগুলো পূরণ করতে হবে| তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর| আপনার জন্ম তারিখ ও এন আই ডি নাম্বার দিয়ে লগইন করা লাগবে|

এরপর প্রোফাইল থেকে তথ্য সংশোধন অপশনে গিয়ে ক্লিক করতে হবে| সংশোধন করার জন্য তথ্য নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আপডেট করতে হবে| আর সংশোধনের সময় যে সকল প্রয়োজনে কাগজপত্র রয়েছে| সেগুলো স্ক্যান করে আপলোড করা লাগে|

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: কি কি কাগজপত্র লাগবে সেটি নির্ভর করে আপনার কি ভুল হয়েছে তার ওপর | নাম সংশোধনের জন্য জন্ম সনদ, শিক্ষা সনদ ও সরকারি কোনো সনদপত্র| পিতা-মাতার নাম সংশোধনে জন্ম সনদ বা আইডি কার্ড| জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য শিক্ষা সনদ ও জন্ম সনদ| 

নাম্বার-দিয়ে-আইডি-কার্ড-চেক-করার-নিয়ম

ঠিকানা সংশোধনের জন্য বাসার ইউটিলিটি বিল এগুলো প্রয়োজন হয়| আর ভুল তথ্য সংশোধনের একটি নির্ধারিত ফি আছে| সেটি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়| ছোটখাটো সংশোধন হলেই ১০০ টাকা আর বড় সংশোধন এর জন্য ২০০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি|

নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে| কারণ অনলাইনে আবেদন না হলে সরাসরি তাদের নিকটে গিয়ে আবেদন করতে হবে| সেখানে আপনাকে লিখিত আবেদন করতে হবে আর সংশোধনের জন্য| যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো জমা দেওয়া লাগবে| তারপর সঠিক সময়ের মধ্যে|

সংশোধিত আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে| এখন ভুল সংশোধন হতে সাধারণত ২০-৩০ দিন সময় লাগবে| তবে সেটি কাজের চাপের উপর নির্ভর হয়ে থাকে এতে কম বেশি ও হতেও পারে| আর জরুরী প্রয়োজনে তাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ রাখতে হবে|

আইডি কার্ড যাচাই করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ গুলো

আইডি কার্ড যাচাই করার সময় যে সকল তথ্যসমূহ গুলো আমাদের প্রয়োজন হয়| সে বিষয় নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা করব|

ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার নাম প্রতিষ্ঠানের নাম এগুলো ঠিক আছে কিনা| পিতা ও মাতার নামের সবকিছু সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা| জন্ম তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কিনা আইডি কার্ডের লিঙ্গের তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করা| আর জাতীয়তার তথ্য ঠিক রয়েছে কিনা|

ঠিকানা, ছবি ও স্বাক্ষর: আইডি কার্ডের মধ্যে আপনার বাস্তব ঠিকানা মিল রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে| আর আপনার বর্তমান যে ঠিকানা প্রয়োজন হলে সেটিও যাচাই করে নিতে হবে| ব্যক্তির যে ছবি রয়েছে সেটি স্পষ্ট ও তার চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন| আইডি কার্ডের স্বাক্ষরের সঙ্গে স্বাক্ষর মিল থাকতে হবে|

মেয়াদ ও QR কোড: আইডি কার্ডটি বৈধ কিনা তা যাচাই করতে হবে| আর কার্ডটি কখন ইস্যু করা হয়েছে সেটিও যাচাই করা লাগবে|

সনদ ও অতিরিক্ত তথ্য: জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার পূর্বে| সেটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ডাটাবেজ ব্যবহার করে যাচাই করা আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা লাগবে| আর অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে কিনা সেটি দেখতে হবে| অতিরিক্ত যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হয় আইডি কার্ডে থাকা রক্তের গ্রুপ যাচাই| আর ওই ব্যক্তির পেশা ওখানে উল্লেখ করা আছে কিনা তা যাচাই করা | জালিয়াতি প্রতিরোধ করার জন্য নিরাপদ যে বৈশিষ্ট্য গুলো রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করা উচিত|

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম নিয়ে শেষ কথা

নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম আর্টিকেলটির মধ্যে| আমরা সে সকল প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি| যেগুলো প্রয়োজন পড়বে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আইডি কার্ড তথ্য যাচাই করা| ভুল তথ্য সংশোধন করা ও মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে ইত্যাদি|

নানা ধরনের আরো যে সকল বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো এখানে উল্লেখ করা হয়েছে| আর এই বিষয়গুলো আপনাদের প্রয়োজনে আসবে আশা করি এটি সম্পন্ন পড়ার পর| আপনার কাছে ভালো লেগেছে এরকম সব আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ| আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকবেন ধন্যবাদ|

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url