ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে| বর্তমানে প্যাসিভ ইনকাম কেবল মানুষের একটি বিলাসিতায় নয় বরং এটি আর্থিক স্থিতিশীলতা| অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে | সেই সব ব্যক্তিরা যারা ব্যবসা বা চাকরি করার পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ইনকামের উৎস তৈরি করতে চাই| আর তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী|
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম এর সুবিধা হল এখানে আপনি একবার কাজ করলে দীর্ঘদিন টাকা আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন| প্যাসিভ ইনকাম কি ও ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে সহ| আরো যে বিষয়গুলো প্রয়োজন সেগুলো আলোচনা করব|
পেজ সূচিপত্র: ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
- ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
- ই-কমার্স স্টোর খুলে প্যাসিভ ইনকাম করার কৌশল
- শেয়ার বাজার ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করা
- ইনভেস্টমেন্ট ও স্টক মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়
- ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার উপায়
- ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা
- শেষ মন্তব্য: ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে| বর্তমান যুগের মানুষের কাছে প্যাসিভ
ইনকাম কেবল একটি আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য| একটি কার্যকরী ধাপ হয়ে উঠেছে
প্যাসিভ ইনকাম হল| এমন একটি আয়ের উৎস যেটা আপনি একবার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে|
সেখানে নিয়মিত শ্রম দেওয়া ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন| এভাবে ইনকাম করে বর্তমানে
অনেক মানুষ সফল হয়ে উঠেছে| প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু আলোচনা
করব|
কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ব্লগ
এখানে আপনি কি ভাবে কাজ শুরু করবেন| তার জন্য নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ
তৈরি করতে হবে |যথা স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, ফ্যাশন, প্রযুক্তি ইত্যাদি এ বিষয়গুলো
নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে পারেন| Blogger প্ল্যাটফর্মে সহজে ব্লগ তৈরি করা
যাবে| ব্লগে গুগল এডসেন্স ও অ্যাপলিয়েট লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে ইনকাম করা
যায়| এখানে প্রাথমিকভাবে সময় ও শ্রম দিতে হবে তারপর একবার জনপ্রিয় হয়ে উঠলে|
সেখান থেকে প্রতিনিয়ত আয় করতে পারবেন আর এখান থেকে| অনেক ভালো পরিমাণের আয় করা
যায়|
ভিডিও বিক্রি ও ফটোগ্রাফি
আপনার তৈরি করা ছবি বা ভিডিও iStock, এরকম সাইটগুলোতে আপনি আপলোড করবেন| সেটি একবার আপলোড করার পর সেখান থেকে প্রতিটি বিক্রয় করা ছবি বা ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন| আর সুবিধা বলতে যেমন একবার যদি একটি ভাল মানের ভিডিও বা ছবি আপলোড করতে পারেন| তাহলে সেখান থেকে বছরের পর বছর ইনকাম করা সম্ভব হবে| আর একাকজন পেশাদার ফটোগ্রাফারদের মাসে কয়েকশো ডলার আয় করতে পারে এই সাইটগুলো থেকে|
ই-কমার্স স্টোর খুলে প্যাসিভ ইনকাম করার কৌশল
ই-কমার্স স্টোর খুলে প্যাসিভ ইনকাম করা এটি একটি চমৎকার উপায় হয়ে উঠেছে| কিন্তু
সফলভাবে এখানে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কৌশল রয়েছে| যেগুলো অনুসরণ করতে হবে
তার জন্য প্রথমে আপনাকে সঠিক নিস নির্বাচন করতে হবে| এমন একটি নিস বেছে নিবেন
যেটা অনেক জনপ্রিয় এবং তার চাহিদা মানুষের কাছে অনেক বেশি| যথা বাচ্চাদের খেলনা.
ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, ফিটনেস প্রোডাক্ট, হোম ডেকর| আপনি যে নিস বেছে নিবেন সেটিতে
যেন লাভজনক হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে | আর তার প্রতিযোগিতা কম হয়।
Print On Demand
আপনি যেগুলোর উপর ডিজাইন করবেন যেমন পোশাক, মগ, টিশার্ট ইত্যাদি| এই
প্রোডাক্ট গুলোর উপর প্রিন্ট করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন| আপনি চেষ্টা করবেন
ডিজাইনগুলো যেন ক্রিয়েটিভ হয় | আর নির্দিষ্ট একটি নিচের উপর ফোকাস করে
তৈরি করবেন| এগুলো করার জন্য কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো
(Printful).
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
ডিজিটাল যে প্রোডাক্ট গুলো হলো যেমন টেমপ্লেট, ই-বুক এগুলো হলো
ডিজিটাল প্রোডাক্ট| আর প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য ভালো একটি পদ্ধতি| বর্তমানে
যেগুলো বেশি জনপ্রিয় শিক্ষামূলক গাইড, কোর্স, ফটোগ্রাফি, ভিডিও ও ডিজিটাল
আর্ট ইত্যাদি| এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি|
আরো পড়ুন:
উপরে উল্লেখিত ই-কমার্স স্টোর থেকে প্যাসিভ ইনকাম| শুরু করার জন্য যে বিষয়গুলো
তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর প্রয়োজন রয়েছে| আর ই-কমার্স থেকে ইনকাম করার জন্য সঠিক
পণ্য নির্বাচন করতে হবে| মার্কেটে যে কৌশলগুলো রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ
করতে হবে| আর অটোমেটেড হয়ে যাওয়ার পর সিটি থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব| এই
সকল বিষয়গুলো ঠিক রেখে আপনি ই-কমার্স থেকে ইনকাম করতে পারেন|
শেয়ার বাজার ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা
শেয়ার বাজার ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা| শেয়ার বাজার ও
ক্রিপ্টোকারেন্সি এ দুটি ভিন্নক্ষেত্র| আর এই ভিন্নক্ষেত্র দুটি আপনাকে প্যাসিভ
ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে দিবে| কিন্তু এগুলো ঝুঁকি ও প্রক্রিয়া
সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার| এখন জানবো শেয়ার বাজারে ও ক্রিপ্টো কারেন্সির
বিষয়ে|
শেয়ার বাজার
শেয়ার বাজারকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে| সেগুলো বিষয়ে এখন আমরা জানবো| ইনডেক্স ফান্ড এটি এক প্রকার শেয়ার বাজার বিনিয়োগ এখানে নির্দিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে| নির্দিষ্ট একটি ইন্ডাস্ট্রির উপর ভিত্তি করে এখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়| আর এখানে সুবিধা বলতে এটির ঝুঁকি কম ও ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে| বিনিয়োগ এর জন্য বোকারেজ হাউজ বা স্থানীয় ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন|
তবে ইনডেক্স ফান্ড মিউচুয়াল ফান্ড এ দুটির মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড এটি ভালো হবে| দ্বিতীয় টি হল লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন এখানে শেয়ারের দাম বাড়লে| আপনি সেটাকে বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন| আর প্যাসিভ ইনকামের জন্য এটি লাভজনক হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে| শেয়ারবাজারের প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য তৃতীয়টি হল ডিভিডেন্ড|
এটি করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ গুলো করার জন্য শেয়ারগুলো কিনে রাখতে হবে| আরেকজন বোকারের সাহায্য নিবেন ও ডিম্যাট একাউন্ট খুলতে হবে| যখন ডিভিডেন্ড বাজারে তারা শেয়ার বিনিয়োগ প্রদান করে থাকবে| তখন সেখান থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব হবে|
ক্রিপ্টোকারেন্সি
এটির মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো স্টোকিং| স্টকিং এটি হলো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আপনি কয়েন গুলো এর মাধ্যমে লক করে রাখতে পারবেন| আর এখান থেকেই ইন্টারেস্ট আকারে ইনকাম করা যাবে| এর মাধ্যমে কয়েন কিনুন আর সে কয়েন ক্রিপ্টো ওয়ালেট স্টক করে রাখবেন| সেটির দাম বাড়লে বাজারে বিক্রি করবেন এবং সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন| আর ব্লগ ভেরিফাই করলে আপনি পুরস্কার পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্যাসিভ ইনকাম করার বেশ কিছু ধাপ রয়েছে|
তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো|
ডিজিটাল পণ্য বিক্রি
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য| ডিজিটাল পণ্যে তৈরি
করে সেটি বিক্রি করে ইনকাম করা সম্ভব| ই-বুক এখানে আপনার দক্ষতা থাকলে লেখালেখি
করে বিক্রি করতে পারবেন | টেমপ্লেট গ্রাফিক্স ডিজাইনের বা ওয়েব ডিজাইন এগুলো
তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব| অথবা ডিজিটাল এসেটস এখানে আইকন বা থিম বিক্রি
করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়|
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার একটা ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং সেখানে অ্যাপ্লিয়েট মার্কেটিং এর লিংক যুক্ত
করবেন| আর নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ব্লগ পোস্ট লিখবেন অ্যাফিলিয়েট এর লিঙ্ক
যুক্ত করবেন| মার্কেট প্লেসে সেবা রিভিউ বা জনপ্রিয় টুল গুলো নিয়ে রিভিউ করবেন|
আর অ্যাপ্লিয়েট লিংক যুক্ত বা শেয়ার করে রাখবেন| সেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে
পারবেন|
অনলাইন কোর্স
বিশেষ করে আপনার নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে যদি দক্ষতা থাকে| তাহলে সেই দক্ষতা
অনুযায়ী কোর্স তৈরি করে সেটি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন|
Udemy এখানে কোর্স তৈরি করার পর আপলোড করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়| আর
Skillshare এই সাইটটিতে শিক্ষার্থীরা আপনার আপলোড করা কোর্স দেখবে| আর তার
মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন|
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার পদ্ধতি| এটির মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য চমৎকার একটি ব্যবসা| যেটিতে অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পণ্য অথবা সেবা প্রচার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারা যায়| অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি নিস বেছে নিতে হবে| যেটিতে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতা রয়েছে| যেমন প্রযুক্তি, ফিটনেস সৌন্দর্য পণ্য ইত্যাদি এরপর প্রোগ্রাম খুঁজে বের করতে হবে|
যথা amazon পণ্য প্রচার করে ডিজিটাল পণ্য, Click Bank কোর্স ও বড় ব্যান্ডের প্রোগ্রামগুলো খুঁজতে হবে| এরপর সঠিক একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন ও ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হবে| পারফরম্যান্স মনিটরিং করতে হবে আর যে কনটেন্ট গুলো ভালো কাজ করে না| সেগুলোকে নতুন করে আপডেট করতে হবে |
আরো পড়ুন:
এগুলোর পর আপনাকে উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে| যেমন Youtube এখানে সেবা প্রদান ভিডিও রিভিউ করবেন| এছাড়া আরো কিছু কার্যকর কৌশল রয়েছে| যেমন SEO কৌশল অটোমেশন বা ইমেইল মার্কেটিং করেও প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। এখান থেকে আপনার ইনকাম কত টাকা আসবে সেটি নির্ভর করে|
আপনার কাজের উপর আপনি কিভাবে কাজ করছেন কাজ কতটুকু ভালো হচ্ছে| সেখান থেকে কত কমিশন পাচ্ছেন ইত্যাদি| কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য| কার্যকারী উপায় হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা যেটি আপনাকে সফলতা অর্জন করতে সাহায্য করবে।
ইনভেস্টমেন্ট ও স্টক মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়
ইনভেস্টমেন্ট ও স্টক মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য ধৈর্য্য, জ্ঞান ও কৌশলের মাধ্যমে উপার্জন করা সম্ভব| স্টক মার্কেটিং হলো এখানে যে কোন কোম্পানির শেয়ার বেচা-কেনা করা হয়ে থাকে| যখন একটি কোম্পানির শেয়ার আপনি কিনবেন কোম্পানির আংশিক মালিক হয়ে যাবেন| স্টক মার্কেটের মৌলিক যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো বুঝতে হবে| কিভাবে শেয়ার বাজারে দাম উঠানামা করে কিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয় ইত্যাদি|
সফল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানতে হবে শেয়ার বাজার নির্বাচন করার পর| দীর্ঘমেয়াদে রাখতে পারলে পরবর্তীতে ভালো ফলাফল পাবেন| আর সেগুলো একাধিক খাতে বিনিয়োগ করে রাখবেন| যেমন এনার্জি ও টেকনোলজি প্রতিনিয়ত মার্কেটের খবর থাকতে হবে| মার্কেটে দাম যখন উঠানামা করবে সে সময় নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন |
মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার পরে সেগুলোর মূল্যবৃদ্ধি হলে বিক্রি করে দিতে হবে| তাহলে আপনি লাভজনক হবেন এছাড়া কিছু ঝুঁকিপূর্ণ দিক রয়েছে| যেগুলো বিষয়ে জানা জরুরি যেকোনো কোম্পানির বিনিয়োগ করার পূর্বে| কোম্পানি বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিবেন আর দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সেগুলো খেয়াল রাখবেন|
এটি মার্কেটের দাম উঠানামা করার প্রভাব ফেলে| নতুন বিনিয়োগ করার জন্য ব্রোকার দের সহায়তা নেওয়া উচিত| আর এখানে সঠিকভাবে সফল হওয়ার জন্য আপনার শেয়ার বাজারে | আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে উচ্চ ঝুঁকির যে শেয়ার বিনিয়োগ গুলো রয়েছে| সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে| আর প্রতিনিয়ত পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করা উচিত|
ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার উপায়
ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য বেশ কিছু ধাপ রয়েছে| আর এই ধাপগুলো
অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারবেন| পণ্যগুলো ডিজিটাল ফর্মে থাকে আর
ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো বিক্রি করা হয়| ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করার ধাপ নিয়ে
নিচে উল্লেখ করা হলো|
ই-বুক
প্রথমে আমরা জানবো ই-বুক কি ই-বুক একটি ডিজিটাল বই| যেটা আপনি মোবাইল কম্পিউটার
অথবা ট্যাবলেটে পড়তে পারবেন| আর এটি যে কোন বিষয়ে হতে পারে যেমন সাহিত্য,
ব্যবসা, প্রযুক্তি ইত্যাদি | এটি তে কাজ শুরু করবেন কিভাবে তার জন্য আপনাকে
জনপ্রিয় একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে |যেটির চাহিদা অনেক এই বইটি আপনি অথবা কোন
কনটেন্ট ক্রিয়েটর কে দিয়ে লিখে নিবেন| আর অন্যান্য ফরম্যাট সহ PDF করে নিবেন|
এরপর সেটিকে নিজের ওয়েবসাইট অথবা জনপ্রিয় যেকোনো একটি মার্কেট প্লেসে| যেমন
Gumroad, Amazon বিক্রি করবেন|
অ্যাপ বা সফটওয়্যার বিক্রি
এটি কি: যদি আপনি মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন| তাহলে সেটি
বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যাবে| আর এমন ধরনের পণ্য তৈরি করতে হবে যেটা
ছোট বড় সকলের প্রয়োজনে আসবে| যেমন গেম, টুলস, অথবা প্রোডাক্টিভিটি এই রকম
অ্যাপ অথবা সফটওয়্যার যেন মানুষের সমস্যার সমাধান করার জন্য হয়ে থাকে| সেটি
আপনি নিজের ওয়েবসাইট অথবা Galaxy Store, Play Store বিক্রি করা যায়|
অডিও ফাইল বিক্রি করা
যদি পডকাস্ট অথবা মিউজিক তৈরি করতে জানলে সেটা বিক্রি করা মাধ্যমে আয় করা সম্ভব|
কিন্তু মনে রাখতে হবে যেন মিউজিক টি শুধু বিনোদনমূলক না হয়ে| শিক্ষামূলক ও হয়ে
থাকে তাহলে এর চাহিদা বাড়বে। শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে অডিও ফাইলগুলোর তৈরি
বা রেকর্ড করতে হবে | তারপর সেগুলোকে সঠিকভাবে এডিট করার পর কিছু প্ল্যাটফর্ম
রয়েছে| যেগুলোতে বিক্রি করে আয় করা যায়| যেমন Audible, iTunes.
উপরে উল্লেখিত পণ্য সহ আরো কিছু ডিজিটাল পণ্য রয়েছে| যেগুলো বিক্রি করে
ইনকাম করা যায় ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আপনি লাভজনক হতে পারবেন| কিন্তু তার জন্য
সঠিক পরিকল্পনা, প্রচার ও বাজার গবেষণা বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে| তারপর এখান থেকে
যেকোনো একটা বিষয় নির্বাচন করে | সেটি জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে
যেগুলোতে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন| আর সফল হওয়ার জন্য আপনার লক্ষ্য
মানুষদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে হবে|
ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা
ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা| বর্তমানে অনেকের
লাভজনক ও জনপ্রিয় উপায় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে ইউটিউব| মূলত এখানে ভিডিও বানিয়ে
ইউটিউবে আপলোড করে আয় করছে| কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা সহজ হলেও| এখান থেকে
সফলতা পেতে সময় ও পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে| এখন আমি ইউটিউব চ্যানেল বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধাপ নিয়ে ব্যাখ্যা করব|
ইউটিউব চ্যানেল
প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে করা লাগবে| একটি গুগল একাউন্টের মাধ্যমে
আপনি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন| তারপর একটি নাম নির্বাচন করতে হবে আর
সেখানেই আপনি কি ধরনের| ভিডিও আপলোড করবেন সেটি নির্ভর করে আপনার উপর| যেমন
শিক্ষা ভিডিও, টিউটোরিয়াল, রিভিউ, গেমিং| এরপর চ্যালেনের জন্য একটি কভার
ফটো ছবি বানাতে হবে|
ইউটিউব মনিটাইজেশন
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য প্রধান উপায় হচ্ছে মনিটাইজেশন করা| কিন্তু
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করার পূর্বে কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো পূরণ করা
লাগবে| কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইব থাকা লাগবে গত 12 মাসে 4000 ঘন্টা দেখা থাকা
লাগবে| ইউটিউবের মনিটাইজেশন পলিসি ও কমিউনিটি গাইডলাইন গুলো মেনে চলতে হবে| আর
গুগল এডসেন্সের সাথে অ্যাকাউন্ট সংযোগ হতে হবে|
পণ্য বিক্রি
ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করা যায়| যথা শার্ট, প্যান্ট,
টি-শার্ট, পোস্টার, কেপ ইত্যাদি গুলো বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব| তার
জন্য প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা লাগবে| আর সেগুলো ইউটিউব
চ্যানেলের মাধ্যমে প্রমোট করতে হবে| Teespring এর মত অনেক সাইট রয়েছে
যেগুলোতে আপনার তৈরি করা| ডিজাইন আপলোড করার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা যাবে| আর
ভিডিওতে আপনাকে পণ্য লিঙ্ক নিতে হবে| যাতে গ্রাহকরা সেগুলো কিনতে পারে|
আরো পড়ুন:
ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য আপনাকে মানসম্পন্ন কনটেন্ট
বানাতে হবে | আর ধৈর্য থাকা লাগবে প্রথমে এখান থেকে আয় হয়তো কম হবে| কিন্তু
পরবর্তীতে চ্যানেলটি জনপ্রিয় হওয়ার পর আপনার আয় বেড়ে যাবে| তাই প্রতিনিয়ত
কনটেন্ট আপলোড করুন| আর সফলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত|
শেষ মন্তব্য: ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে
ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে| তার জন্য আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে| আর যদি কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা বা আগ্রহী আছে| তাহলে সে বিষয়ে কাজ করে ইনকাম করা উত্তম| বর্তমানে একটিভ ইনকামের চেয়ে প্যাসিভ ইনকামের চাহিদা বেশি| কারণ ধৈর্য ও পরিশ্রম করে আপনি যদি এখানে কাজ করেন| তাহলে পরবর্তীতে সেখান থেকে আপনার ইনকাম হতে থাকবে| এর জন্য এটির চাহিদা বেশি প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য|
সেই সকল বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আপনাকে সফলতা অর্জন করতে সাহায্য করবে| এটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন| আশা আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে| আর আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখবেন| এরকম সব গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url