ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন
ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা ডাবের পানি প্রকৃতির এক অপূর্ব দান| যেটা আমাদের মন ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী| এটি অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর| খনিজ উপাদান ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই পানি আমাদের শরীরের তৃষ্ণা মেটায়| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও হজম
প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে| ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে, ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা| আর অতিরিক্ত পান করার ফলে যে ক্ষতিগুলো হবে| সেগুলোসহ আরো কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো|
পেজ সূচিপত্র: ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- ডাবের পানি শরীরে পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক
- ডাবের পানির অপকারিতা ও কিছু সতর্কতা
- গর্ভবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধ করতে কতটুকু ভূমিকা রাখে
- ডাবের পানি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
- ডাবের পানি কাদের জন্য খাওয়া উচিত নয়
- ডাবের পানি ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাবের পানির সুবিধা গুলো
- ডাবের পানির প্রভাব ওষুধের কার্যকারিতার উপর
- শেষ কথা: ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয় নিয়ে
ডাবের পানি শরীরে পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক
ডাবের পানি শরীরে পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক| ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে| এটির মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো ভরপুরভাবে রয়েছে| যেগুলো আমাদের শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করতে সাহায্য করে| এখন আমরা আলোচনা করব ডাবের পানির কিছু সুবিধা গুলো নিয়ে| ডাবের পানিতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এগুলো শরীরের পানি শূন্যতাকে দূর করে|
আর ঘামের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া লবণ পূরণের জন্য সহায়তা করে| ডাবের পানিতে শর্করা ও খনিজ আছে, যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করে| এটি আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে হজম শক্তি উন্নত করে| কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যাগুলো দূর করে ডাবের পানিতে থাকা ফাইবারের মাধ্যমে| শুধু তাই নয় ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়ামও সোডিয়াম এর মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে|
রক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে, আমাদের ত্বকের দাগ গুলো দূর করে ও ত্বকের আদ্রতা বজায়
রাখে| ডাবের পানিতে চর্বি না থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে| কিন্তু
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি নিরাপদ| আর এটি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সহায়ক হিসাবে কাজ করে|
ডাবের পানির অপকারিতা ও কিছু সতর্কতা
ডাবের পানির অপকারিতা ও কিছু সতর্কতা| ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য
বেশ উপকারী| এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান কিন্তু এর কিছু অপকারিতা ও
সর্তকতা রয়েছে| যেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন|
ডাবের পানির অপকারিতা
ডাবের পানিতে রয়েছে অনেক পরিমাণে পটাশিয়াম| যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে বা পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় এই পানি খেলে সমস্যা হবে| যদিও এই প্রাকৃতিক পানি তবে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি আছে| যেটা ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দেই| ডাবের পানি অতিরিক্ত পান করার ফলে আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে|
আরো পড়ুন:খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান
তবে যাদের হজমের সমস্যা আছে| কিছু কিছু মানুষের ডাবের পানিতে থাকা নির্দিষ্ট
উপাদান গুলোর কারণে এলার্জি চুলকানি ও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে থাকে| ডাবের পানি
রক্তচাপ কমায় কিন্তু যাদের রক্তচাপ কম | তাদের জন্য সমস্যা হবে এই ডাবের
পানি খাওয়ার ফলে|
সতর্কতা
প্রতিদিন ডাবের পানি পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত| তবে এটি অতিরিক্ত পান করলে হৃদপিণ্ড
ও কিডনির সমস্যা হবে| ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাবের পানি পান করার আগে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে | কিডনি সমস্যার রোগীদের ডাবের পানি না খেলে ভালো| ছোট শিশুদের
বেশি পরিমাণে ডাবের পানি খাওয়ানো উচিত নয় কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াকে বাধা দেই|
ডাবের পানি শরীরের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকর হলেও এটি সবার খাওয়া উচিত নয়| তবে
খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে|
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা| ডাবের পানি আমাদের দেহের জন্য
অনেক উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক পানি| যেটা পান করার ফলে আমাদের
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে থাকে| এখন আমরা এই পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন সেই গুলো জানবো|
গর্ভাবস্থায় উপকারিতা
ডাবের পানি গর্ভবস্থায় অনেক উপকারী হয়ে থাকে| এতে আছে মিনারেল, ভিটামিন ও ইলেকট্রোলাইট যা গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক ভালো ও স্বাস্থ্যকর একটি পানি| গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণে দেহে থেকে পানি ও ইলেকট্রোলাইট কমে যায় যেটা পূরণ করতে ডাবের পানি সাহায্য করে| ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে ডাবের পানিতে থাকা এন্টি ভাইরাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল মায়েদের জন্য কার্যকরী|
গর্ভবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা মায়েদের হয়ে থাকে| তবে এর সমস্যা দূর করার জন্য ও হজম প্রক্রিয়াকে ভাল রাখতে| ডাবের পানির ভূমিকা অনেক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাবের পানিতে রয়েছে মাত্রার উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম| ডাবের পানি ত্বকের জন্য ভালো ও এনার্জি ড্রিংস হিসাবে কাজ করে থাকে|
গর্ভাবস্থায় অপকারিতা
ডাবের পানি যদিও গর্ভবতী বেশিরভাগ মেয়েদের জন্য উপকারী| কিন্তু এর কিছু অপকারিত রয়েছে ডাবের পানিতে শর্করা রয়েছে| যা গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কারণ হতে পারে| আর বেশি পরিমাণে পান করলে ক্ষতিকর হবে| কিডনির সমস্যা থাকলে ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম, তাদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে| অন্যান্য যে সকল পুষ্টিকর খাবার গুলো রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে|
ডাবের পানি অতিরিক্ত পান করলে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয়| যে সকল পুষ্টি রয়েছে
সেগুলোর ঘাটতি হয়ে থাকে| প্রতিদিন ১ গ্লাস ডাবের পানি পান করা যথেষ্ট| তবে
গর্ভবস্থায় ডাবের পানি পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অনেক
গুরুত্বপূর্ণ|
ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধ করতে কতটুকু ভূমিকা রাখে
ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধ করতে কতটুকু ভূমিকা রাখে| ডাবের পানি আমাদের দেহের জন্য
অনেক উপকারী| এটি আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে| তবে এর
মধ্যে কিছু প্রধান ভূমিকা রয়েছে, যেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন সেগুলো এখন উল্লেখ
করা হলো:-
আমাদের দেহের পানির যে অভাব রয়েছে তা দূর করতে| ডাবের পানিতে থাকা ইলেকট্রোলাইট যা দেহের হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে| বমি, ডায়রিয়া ও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে শূন্যতা হয় তা দ্রুত পূরণ করে ডাবের পানির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে| যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে আর ইনফেকশন এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে| হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম|
হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম বজায় রাখে আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে| এটি
প্রসাবের মাধ্যমে টক্সিন গুলো বের করে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে| আর যাদের
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি পান করবেন|
শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য এটি
সহায়তা করে| তবে ডাবের পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকরী ভূমিকা
রাখে|
ডাবের পানি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
ডাবের পানি হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে| এর মধ্যে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান গুলো রয়েছে যেগুলো হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অনেক কার্যকরী। ডাবের পানিতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি আছে| রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে আর উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের হওয়ার প্রধান কারণ| তাই নিয়মিত যদি ডাবের পানি পান করা হয় তাহলে আমাদের হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমানো যায়|
এই পানি সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল মুক্ত এটি দেহের জন্য ভালো কোলেস্টেরল (HDL) তৈরি করতে সহায়তা করে| আর যে সকল খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) গুলো রয়েছে সেগুলোকে কমায়| (LDL) কোলেস্টেরল জমে থাকলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়| তাই ডাবের পানি এটাকে ঠেকাতে অনেক কার্যকরী ডাবের পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান| যেমন সাইটোকাইনস আমাদের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে থাকে|
আর রক্তনালীর প্রদাহ কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে তুলে| আর এই পানি রক্ত জমাট
বাধার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে| হার্ট অ্যাটাক সম্ভাবনা দূর করে অতিরিক্ত ওজন
হৃদরোগের অন্যতম একটি কারণ| যাদের হৃদরোগের সমস্যা এবং রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে|
তারা নিয়মিত ডাবের পানি খাবেন কিন্তু সেটি পরিমাণ মত খেতে হবে| অথবা আপনি
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি পান করবেন|
ডাবের পানি কাদের জন্য খাওয়া উচিত নয়
ডাবের পানি কাদের জন্য খাওয়া উচিত নয়| ডাবের পানি যদিও বেশিরভাগ মানুষের জন্য উপকারী| কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট অবস্থায় এই পানি খাওয়া পরিহার করা উচিত| কিডনি রোগ আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম হাইপারকালিমিয়া সৃষ্টি করে| যদি কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে দেহ থেকে পটাশিয়াম বার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে| আর হৃদযন্ত্রের উপর ঝুঁকি বাড়াই ডায়াবেটিস রোগীদের ডাবের পানি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে|
আরো পড়ুন:আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এতে আছে শর্করা যা রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় আর তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে| দুর্বলতা, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হওয়া যাদের আছে| তাদের জন্য ডাবের পানি ঝুঁকিপূর্ণ এটি রক্তচাপ কমায়| তবে যাদের স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তচাপ কম আছে তাদের জন্য অনেক সমস্যা হয়ে পড়বে| আবার কিছু কিছু মানুষের জন্য ডাবের পানি গ্যাস তৈরি করে| আর হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তুলে ডাব ও নারিকেল কিছু মানুষের এলার্জির হওয়ার কারণ|
তার ফলে চুলকানি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা হয়ে পড়ে এই পানি অতিরিক্ত পান করার| ফলে
দেহের জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে এটার সোডিয়ামের মাত্রা কমায়| যেটির ফলে দুর্বলতা,
মাথা ঘোরা, বা অজ্ঞান হয়ে যায় ইত্যাদি| ডাবের পানি যদিও সকলের জন্য উপকারী
আপনাদের যদি কোন দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা থাকে | তাহলে ডাবের পানি পান করার আগে
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন|
ডাবের পানি ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
ডাবের পানি ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে| এটি ত্বককে হাইড্রেট করে ও ত্বকের পুষ্টি যোগায়| ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট আছে যা ত্বককে হাইড্রেট করতে সহায়তা করে| শুষ্ক ত্বক ও পানির অভাবে ত্বকে যে রুক্ষভাব হয় তা দূর করার জন্য ডাবের পানির ভূমিকা অনেক| তবে এটি নিয়মিত পান করার ফলে ত্বক নরম হয়| ডাবের পানির এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের ব্রণ এর সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে|
আর ত্বকে থাকা ছিদ্রগুলো পরিষ্কার করে ত্বকের দাগ, কালো দাগ | রোদে পোড়া কালচে ভাব দূর করার জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী| আর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি বজায় রাখে, শুধু তাই নয় ডাবের পানি ত্বকের জ্বালা কমায়| ত্বকে ঠান্ডা রাখে এবং পুষ্টির গুণ সরবরাহ করে ত্বকে শক্ত ও তরতাজা রাখতে ডাবে থাকা ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অনেক| এ পানি আমাদের দেহের মধ্য থেকে টক্সিন দূর করে আর আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে|
এবং ত্বকের যে স্বাস্থ্য রয়েছে তাকে ভালো রাখে এর কিছু সঠিক ব্যবহার রয়েছে|
আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খেতে পারেন এর মাধ্যমে ত্বক উজ্জ্বল
হয়| ডাবের পানি তুলোর সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে | এতে
করে ত্বক নরমও সতেজ থাকে ত্বকের পুষ্টি যোগানোর জন্য এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও ভালো
রাখার জন্য ডাবের পানির গুরুত্ব অনেক|
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাবের পানির সুবিধাগুলো
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাবের পানি উপকারী| তবে এটি সঠিকভাবে এবং পরিমাণ মতো পান করতে হবে| ডাবের পানির যে সুবিধা গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে এখন আমরা কথা বলব| ডাবের পানি মিষ্টি হলেও এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম| যা রক্তের শর্করা স্তর বাড়ায় না আর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকরী হয়| ডাবের পানিতে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে যা দেহের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখে|
আর ডায়াবেটিস রোগীদের ডিহাইড্রেশন রোধ করতে সাহায্য করে | আর রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে এতে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে| আমাদের শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে আর ডায়াবেটিস জনিত| যে সকল রোগগুলো রয়েছে যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি ইত্যাদি এগুলো কমাতে পারে| ডাবের পানিতে লো-ক্যালোরি আছে যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ানো থেকে এড়িয়ে চলাই|
শুধু তাই নয় এ পানি আমাদের সহজে হজম| আর পাচনতন্ত্র ভালো রাখে এগুলো হল ডাবের পানির উপকারিতা হলো| এর কিছু সতর্কতা আছে ডাবের পানি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা ঠিক নয়| কারণ এটিতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর ডাবের পানি খাওয়া দরকার।
ডাবের পানির প্রভাব ওষুধের কার্যকারিতার ওপর
ডাবের পানির প্রভাব ওষুধের কার্যকারিতার ওপর| ডাবের পানি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পানি হিসেবে পরিচিত| তবে কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের কার্যকারিতার ওপর এটির প্রভাব পড়ে| আর ডায়াবেটিস রোগীদের ডাবের পানি পান করার সময় কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ| ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে তবে কোন রোগী যদি পটাশিয়ামযুক্ত ওষুধ বা কিডনি রোগের ওষুধ খেয়ে থাকে| তাহলে ডাবের পানি অতিরিক্ত পান করলে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যর সমস্যা হয়|
ডাবের পানির মধ্যে শর্করা থাকলেও তার রক্তের শর্করা মাত্র দ্রুত বাড়ায় না| কিন্তু রোগী যদি ইনসুলিন ব্যবহার করে থাকে| তাহলে ডাবের পানি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার| যে রোগীগুলো ডিহাইড্রেশন রোধ করার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকে, তারা ডাবের পানি অতিরিক্ত পান করার| পর ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যের সমস্যা হতে পারে ডাবের পানি আমাদের রক্তচাপ কমায়|
আরো পড়ুন:শরীরের হাড় শক্ত করার উপায়
কিন্তু কেউ যদি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকে| তাহলে ওষুধ ও ডাবের পানি একসঙ্গে খাওয়ার ফলে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যাবে| এ পানিতে কিছু খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে যা অতিরিক্ত পান করার ফলে আপনার কিডনির ওপর চাপ পড়বে| তাই ডাবের পানি গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে|
এবং সঠিক পরিমাণে পান করতে হবে তবে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়| তাহলে সঙ্গে সঙ্গে
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার| ডাবের পানি ওষুধের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক
প্রভাব ফেলে| তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে|
শেষ কথা: ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয় নিয়ে
ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয় নিয়ে| ডাবের পানির সেই সকল উপকারিতা, অপকারিতা কিছু সতর্কতা| আরো যে বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন সেগুলো এখানে সম্পূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে| যে এই পানি গ্রহণ করার পর আমাদের কোন উপকার হবে| অতিরিক্ত পান করার ফলে কি অপকারিতা হবে| আর উপকারিতা ও অপকারিতা সহ এর যে সতর্কতা গুলো আছে|
তা আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেল এর মধ্যে| এটি পড়ার পর যদি কোন উপকারে আসে তাহলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন| কিছু বলার থাকলে কমেন্ট করবেন, আমরা রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব| এরকম সব নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করুন ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url