শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা| শীতকাল আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ যেটা শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তন করে না খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন করে থাকে| এ সময় বাজারে নানা ধরনের শীতকালীন সবজি পাওয়া যায়| শীতকালীন সবজিগুলো হল গাজর, শিম, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি
টমেটো ইত্যাদি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী| তার জন্য শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা| সম্পর্কে লেখা আর্টিকেলটিতে আরো যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো জানবো|
পেজ সূচিপত্র: শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা
- শীতকালীন সবজি খাওয়ার উপকারিতা ও পরিচিতি
- শীতকালীন সবজি কোন কোন সময় বেশি পাওয়া যায়
- শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- সিম প্রোটিন যুক্ত একটি শীতকালীন সবজি
- শীতকালীন সবজি ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে
- শীতকালীন সবজি কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহার
- শীতকালীন সবজি সংরক্ষণ করা ও রান্নার পদ্ধতি
- শীতকালীন সবজি মুলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- শীতকালীন সবজি সঠিকভাবে রান্না করার পদ্ধতি ও সহজ রেসিপি
- শেষ মন্তব্য: শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালীন সবজি খাওয়ার উপকারিতা ও পরিচিতি
শীতকালীন সবজি খাওয়ার উপকারিতা ও পরিচিতি শীতকালীন সবজি হল সেগুলো সেগুলো সবজি
শীতকালে মূলত সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আর এগুলো ঠান্ডা আবহাওয়া শীতকালে আর না
হয় ঠান্ডা আবহাওয়া সঠিকভাবে জন্মায় বাংলাদেশের প্রচলিত কিছু শীতকালীন সবজিগুলো
হল পালং শাক, লাল শাক, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম বেগু ইত্যাদি এগুলো
হলো শীতকালীন সবজি
শীতকালীন সবজির উপকারিতা
শীতকালীন সবজি খাওয়ার ফলে নানা ধরনের উপকার আসে| সবজি খেলে আমাদের দেহে পুষ্টি সরবরাহ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে| এখন আমরা সবজি গ্রহণের পর কি কি রোগ প্রতিরোধ করে| তার মধ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব| বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর এগুলোতে ভিটামিন সি রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়|
হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধির জন্য পালং শাক, সিম, মুলা ইত্যাদি| এগুলো হজম
প্রক্রিয়ার জন্য বেশ উপকারী কারণে এতে রয়েছে ফাইবার | টমেটো, গাজর এতে
রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপাদান যা ত্বকে ভালো রাখে| ওজন
নিয়ন্ত্রণ, হাড়ের মজবুত করতে, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে| আর যাতে
ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য করলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সাহায্য করে|
স্বাস্থ্যসম্মত টিপস
সবজি রান্না করার সময় বেশি সিদ্ধ না করে খাবে, যেন সবজির পুষ্টি উপাদান গুলো
নষ্ট না হয়ে যায় |আপনি কাঁচা সবজি সালাদ করে খেতে পারেন মৌসুমী সবজি কিনে
খাবেন| কারণ পুষ্টি ও স্বাদ অনেক বেশি থাকে| শীতকালীন সবজি পুষ্টিকর হয় ও
সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে|
শীতকালীন সবজি কোন কোন সময় বেশি পাওয়া যায়
শীতকালীন সবজি কোন কোন সময় বেশি পাওয়া যায়| বাংলাদেশী শীতকালীন সবজি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে থেকে মার্চে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়| একটি শীতকালীন সবজি চাষ করার উপযুক্ত সময়| নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে চাষকৃত ফসলগুলো বাজারে আস্তে আস্তে বাজারে আসা শুরু হতো| আর এই মৌসুমী সবজি তুলনামূলক দাম বেশি থাকে|
সে সময় যে সবজিগুলো পাওয়া যেত মুলা, ফুলকপি , বাঁধাকপি, টমেটো, সিম ইত্যাদি| ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এ সময় তীব্র শীত থাকে আর সবজি সরবরাহ বৃদ্ধি পায়| বাজারে সবজির দাম প্রায় অনেকটা কম হয়| কিন্তু জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে সকল ধরনের সবজি বাজারে সরবরাহ হয়ে থাকে| তার সবজির দাম কম হয় ও সহজলভ্য| ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে শীত ধীরে ধীরে শেষ হতে থাকে|
আরো পড়ুন:খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও ১০টি পুষ্টিগুণ
এবং শীতকালীন যেসব সবজিগুলো রয়েছে| সেগুলো উৎপাদন কমে যায় আর
বাজারে গ্রীষ্মকালীন যে নতুন সবজি গুলো ওঠে| সেগুলো আসতে শুরু করে, সবজি
শীতকালে সবচেয়ে বেশি বাজারে পাওয়া যায়| নভেম্বর ও মার্চের শুরুর দিকে কিন্তু
বিশেষ করে| ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে সবজির পুষ্টিগুণ ভালো থাকে এবং তুলনামূলক
দাম কম থাকে|
শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে থাকা পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য
অনেক পরিচিত | আর এই দুইটি সবজিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে| যেটা রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে| এখন আমরা ফুলকপি ও বাঁধাকপির উপকারিতা ও
কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করব|
ফুলকপিতে যেসব ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো রয়েছে| সেগুলো আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে| ফুলকপিতে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি যেটা আমাদের দেহের সাদা রক্ত কণিকা উৎপাদন করতে সাহায্য করে| আর আমাদের সর্দি-কাশি ও ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে লড়াই করে এতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট|
যা আমাদের কোষগুলোকে ক্ষতিকারক দিক থেকে রক্ষা করে| শুধু তাই নয় এতে
ফাইবার ও আছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে থাকে|
এগুলোর পাশাপাশি সর্দি-কাশি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা| আমাদের শরীরে
বিষাক্ত পদার্থগুলো ধ্বংস করা ইত্যাদি|
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি একটি পুষ্টিকর সবজি যেটা শীতকালে| আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং
আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী| এটিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে বাঁধাকপিতে
থাকা| ভিটামিন সি আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে| আর ভিটামিন কে
আমাদের দেহের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে| এবং হাড়কে শক্তিশালী এবং
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে|
তবে এই দুটি সবজি একত্রে খাওয়ার ফলে| আমাদের দেহের জন্য বেশ কিছু উপকার
পাওয়া যায়| একত্রে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ফাইবার, মিনারেল ও ভিটামিন সরবরাহ
করে থাকে| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে| তার জন্য ফুলকপি
ও বাঁধাকপি শীতকালে আমাদের খাওয়া অত্যন্ত উপকারী|
সিম প্রোটিন যুক্ত একটি শীতকালীন সবজি
সিম প্রোটিন যুক্ত একটি শীতকালীন সবজি| সিম পুষ্টিকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি, এই সবজি সাধারণত শীতকালে অনেক পরিমাণে পাওয়া যায়| প্রোটিনের ভালো উৎস এবং শাকসবজির মধ্যে অন্যতম সবজি হচ্ছে সিম| সিমে থাকা প্রোটিন আমাদের দেহের কোষের গঠন শক্তি উৎপাদন ও মেরামত ভালো রাখতে সহায়তা করে| এটি খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে| কারণ এর মধ্যে আছে ডায়েটারি ফাইবার সিমের মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও কিছু|
খনিজ উপাদান রয়েছে| যেমন পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা ইত্যাদি| যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী| সিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো আমাদের দেহের কোষকে ক্ষতিকারক দিক থেকে রক্ষা করে| এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এগুলো হলো সিমের পুষ্টিগুণ| এখন আমরা সিমের কিছু উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব|
সিমে কম পরিমাণে ক্যালরি এবং উচ্চমাত্রায় ফাইবার আছে| যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
শিমে পটাশিয়াম ও ফাইবার আমাদের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে| এবং এটি রক্ত
চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে শীতকালীন সবজি সিম| আপনি বিভিন্নভাবে
রান্না করে খেতে পারেন| যেমন শিম ভাজি, শিম কারী ও শিম ভর্তা ইত্যাদি| তবে হজম
ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সিম খাওয়া উচিত|
শীতকালীন সবজি ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে
শীতকালীন সবজি ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে| কারণ এতে রয়েছে কম পরিমাণে ক্যালরি, উচ্চ ফাইবার ও বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ| যেগুলো আমাদের ওজন কমানোর জন্য বেশ উপকারী| ফুলকপি ওজন কমাতে কিভাবে আমাদের সাহায্য করে| সে বিষয়গুলো এখন জানবো কম ক্যালরি ফুলকপি কম ক্যালোরি যুক্ত একটি খাবার| এটি বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বাধা দেয়| আর আমাদের দেহে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে থাকে না|
উচ্চ ফাইবার ফুলকপিতে উচ্চ ফাইবার রয়েছে এটি হজম এর জন্য বেশ উপকারী| এবং ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে আর খাবার খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়| ফুলকপির কিছু পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো হল ফুলকপিতে রয়েছে |ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট ভিটামিন সি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে|
শরীরের হাড়কে মজবুত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন কে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ| আর ফুলকপিতে ভিটামিন কে রয়েছে ফলেট গর্ভবতী মায়েদের জন্য বেশ
উপকারী| ফুলকপি আপনি রান্না করে, সালাদ ও স্যুপ করে খেলে আমাদের ওজন কমাতে
সহায়তা করে| এজন্য ওজন কমাতে হলে ফুলকপি আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে
হবে| এবং সঠিক নিয়মে খেতে হবে|
শীতকালীন সবজি কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহার
শীতকালীন সবজি কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহার| কাঁচা
পেঁপে শীতকালীন একটি স্বাস্থ্যকর সবজি| এতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রয়েছে
এটি প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে| যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য বেশ
উপকারী|
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা
কাঁচা পেঁপের মধ্যে প্যাপইন নামক প্রাকৃতিক এনজাইম রয়েছে| যাও হজমের জন্য সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে| কাঁচা পেঁপে ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার| যেটা দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার যে ইচ্ছা তাকে কমিয়ে আনে|
আরো পড়ুন:হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি
আর দেহের অতিরিক্ত যে চর্বি তাকে পোড়াতে সাহায্য করে| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে ও সর্দি-কাশি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য কাঁচা পেঁপে বেশ কার্যকরী|
কাঁচা পেঁপে আমাদের চুলও ত্বকের জন্য উপকারী কারণে তে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে|
শুধু তাই নয় হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে|
কাঁচা পেঁপের ব্যবহার
কাঁচা পেঁপে কুচি করে কেটে সালাদ তৈরি করে খাওয়া যায়| তবে এতে যদি আপনি বাদাম, জিরে ও লেবু মিশালে এটি আরো সুস্বাদু হয়| কাঁচা পেঁপে কষিয়ে তার ভর্তা তৈরি করা হয়, তবে সেখানে আপনি পেঁপে ছাড়া বিভিন্ন ধরনের তেল ও মসলা দিতে পারবেন| এগুলো ছাড়াও কাঁচা পেঁপে দিয়ে চাটনি, রার তৈরি করে খাওয়া যায়|
কাঁচা পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের একাধিক উপকার নিয়ে আসে শীতকালীন সময়ে| এটির
গুরুত্ব অনেক তাই আমরা ওজন কমানো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য
ভালো রাখার জন্য নিয়মিত| আমাদের খাদ্য তালিকায় এটিকে রাখতে পারি|
শীতকালীন সবজি সংরক্ষণ করা ও রান্নার পদ্ধতি
শীতকালীন সবজি সংরক্ষণ করা ও রান্নার পদ্ধতি| শীতকালে আমরা অনেক ধরনের সবজি পেয়ে
থাকি |যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, পেঁপে, মিষ্টি আলু, গাজর ইত্যাদি| এগুলোতে
থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী| কিন্তু এগুলো
সবজি সংরক্ষণ করার ও রান্না করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে সেগুলো সারা বছর উপভোগ
করা যেত| শীতকালীন সবজি সংরক্ষণ করার ও রান্নার কিছু পদ্ধতি নিয়ে আমরা এখন
আলোচনা করব|
সবজি সংরক্ষণ পদ্ধতি
ফুলকপি ও বাঁধাকপি আপনি যদি একাধিক দিন রাখতে চান| তাহলে পলাথিন বেগে আপনাকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে| তবে আপনি ফুলকপিও বাঁধাকপি গরম পানিতে ডুবিয়ে সেটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধোয়ার পর ফ্রিজে রাখতে পারেন| তাহলে তাজা রাখতে সহায়তা করবে, সিম আপনি শাখা গুলি বের করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে পারেন|
সিম গুলো আপনি ব্লাঞ্চ করে শুকিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন| এবং সেটি অনেক দিন তাজা
থাকে, গাজর দীর্ঘদিন তাজা হয়ে থাকে| তবে সেটি যদি আপনি আরো ভালোভাবে সংরক্ষণ করে
রাখতে চান, তাহলে সেগুলো ফ্রিজে রাখবেন| কিন্তু দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখার
জন্য গাজর ব্লাঞ্চ করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে|
সবজি রান্নার পদ্ধতি
ফুলকপির ভর্তা করার জন্য আপনি কুচি করে রান্না করার পর| আদা, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, হলুদ, মরিচ ও ধোনের গুঁড়ো দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন| সিমকারি তৈরি করার জন্য সেগুলো ছোট টুকরো করে কেটে নেওয়ার পর| টমেটো, রসুন, পেঁয়াজ, আদা ও মসলাদার কারি তৈরি করা যায়| তবে এতে আপনি দই বা মিষ্টি যোগ করতে পারেন|
কাঁচা পেঁপে কুচি করে কাটার পর হলুদ, মরিচ, সেদ্ধ টমেটো, ধনে গুঁড়ো ও সরিষার তেল এগুলো দেওয়ার পর চাটনি তৈরি করা যায়| এটি অনেক পুষ্টিকর সুস্বাদু হয় শুধু তাই নয় পালং শাক ভাজি ও গাজর মিষ্টি তৈরি করা যায়| শীতকালীন সবজি গুলো সংরক্ষণ করার পদ্ধতি আপনাকে সবজি দীর্ঘ সময় তাজা রাখার জন্য সহায়তা করবে|
শীতকালীন সবজি মুলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
শীতকালীন সবজি মুলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে| কারণ মুলা হলো একটি পুষ্টিকর ও
স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ যুক্ত সবজি| হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এর ভূমিকা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ| হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মূলা যে ভূমিকা গুলো রাখে সেগুলো
এখন আমরা নিচে উল্লেখ করব
মুলাতে উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে কার্যকর করতে সহায়তা করে| আর কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাগুলো দূর করে ডাইজেস্টিভ এনজাইম মুলাতে থাকা নির্দিষ্ট| একটি উপাদান হজম প্রক্রিয়াকে এবং খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো খুব দ্রুত শোষণ করতে সহায়তা করে| মুলা লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য এবং ফ্যাট ও জটিল খাবার গুলো হজম করতে সহযোগিতা করে|
মুলার জলীয় উপাদান গুলো এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টক্সিন গুলোকে দূর করার পর হজম শক্তি উন্নতি করে| পেটের অন্যান্য সমস্যা ও গ্যাস কমাতে পারে, কিভাবে মুলা আমাদের খাওয়া উচিত| কাঁচা মুলা আমরা যদি সালাদ করে খায় তাহলে হজমের জন্য অনেক কার্যকরী| তবে রান্না করা মূলা আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে|
এবং খুব সহজে খাবার হজম করতে সহায়তা করে কিন্তু পেটের সমস্যা থাকলে মূলার রস
খেতে পারেন| তবে মূলা অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এতে করে পেটের সমস্যা ও গ্যাস হতে
পারে| তার জন্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে সঠিকভাবে মুলা খাওয়ার| ফলে পেটের
সমস্যা পাশাপাশি আমাদের দেহের উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়|
শীতকালীন সবজি সঠিকভাবে রান্না করার পদ্ধতি ও সহজ রেসিপি
শীতকালীন সবজি সঠিকভাবে রান্না করার পদ্ধতি ও সহজ রেসিপি| শীতকালীন সবজি সঠিকভাবে রান্না করে পুষ্টিগুণ বজায় রাখার জন্য এবং হজমযোগ্য করে তোলায় আমাদের মূল লক্ষ্য| প্রথমে তাজা সবজি নির্বাচন করতে হবে, শীতকালীন সবজিগুলো| যেমন মুলা,, ফুলকপি, সিম, গাজর, বাঁধাকপি, ইত্যাদি| তাজা ও সঠিক মৌসুমে কিনা লাগবে সবজি রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে| যাতে কীটনাশক বা মাটি না লেগে থাকে, সবজি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে|
আরো পড়ুন:পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে একই আকারে ছোট ছোট করে সবজি কেটে নিলে সমান হবে| আপনি সবজি সিদ্ধ করার সময় কম পানি দিয়ে রান্না করবেন, এতে তার পুষ্টি উপাদান গুলো নষ্ট না হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে| সবজির পুষ্টিগুণ ও স্বাদ ধরে রাখার জন্য সঠিকভাবে মসলা দিয়ে রান্না করতে হবে| আমরা এখন কিছু সহজ রেসিপি নিয়ে কথা বলবো| গাজর এক কাপ, ফুলকপি এক কাপ, সিম এক কাপ কুচি, আলু ১ থেকে ২ কাপ টুকরো, সামান্য সরিষার তেল, মুলার ছোট টুকরো এক কাপ|
জিরা, লবণ, হলুদ, পরিমান মত এবং দুইটি কাঁচা মরিচ এভাবে মিশ্রণ করে সবজির তরকারি রান্না করা যায়| এ ভাবে রান্না করা ছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাবে সবজি রান্না করা যায়| তবে আমরা যদি সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে শীতকালে সবজি রান্না করে থাকি| তবে শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটির যে সকল নিয়মগুলো রয়েছে| সেগুলো অনুযায়ী সবজি রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয় এবং তার পুষ্টিগুণ অক্ষত রয়ে যায়|
শেষ মন্তব্য: শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা| শীতকালীন সবজিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হয়ে থাকে| যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে| শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লিখা আর্টিকেলটিতে| আরো যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, যেমন শীতকালীন সবজি কোন সময় পাওয়া যায়|
কিভাবে রান্না করতে হয় কোন সবজি খেলে আমাদের কোন সমস্যা দূর হয়| কোন শীতকালীন সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের জন্য উপকার বয়ে আনে| উপরে উল্লেখিত যে বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি সেই বিষয় ও নিয়ম মেনে যদি শীতকালীন সবজিগুলো গ্রহণ করা হয় তাহলে অবশ্যই|
আমাদের শরীরের জন্য উপকারে আসবে |শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ও খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি পড়লে অবশ্যই| আপনাদের উপকারে আসবে, আমাদের কিছু বলার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন| যোগাযোগ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস করবেন ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url