মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায়

মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায়| অনেকের স্বপ্ন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়াতে যাওয়া| কিন্তু তার মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ মানুষ জানে না যে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়| কিন্তু সেখানে মানুষ আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যের জন্য যেয়ে থাকে| কেউ যায় কাজের জন্য, ভ্রমণের জন্য, ব্যবসার জন্য ইত্যাদি|

মালয়েশিয়া-টাকার-রেট-ও-যাওয়ার-উপায়

কিন্তু উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে| এই আর্টিকেলটিতে মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায় সহ যে সকল বিষয়গুলো প্রয়োজন সবগুলো আলোচনা করব|

পেজ সূচিপত্র: মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পদ্ধতি

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পদ্ধতি| এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়াতে বর্তমানে অনেক বাঙ্গালীদের কাছে যাওয়া স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে| চাকরি, শিক্ষা, ব্যবসা ও ভ্রমণ সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মানুষ মালয়েশিয়াতে গিয়ে থাকেন| তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ, আধুনিক অবকাঠামো, এ দেশ শিক্ষার জন্য সুপরিচিত| মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের কিছু নির্দিষ্ট ধাপ রয়েছে|

পাসপোর্ট প্রস্তুত: মালয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট যদি না থাকে| তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে, কিন্তু পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের হতে হবে|

ভিসার জন্য আবেদন: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া প্রবেশের জন্য আপনার ভিসার প্রয়োজন| কিন্তু সেটা নির্ভর করে আপনার যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর| কিন্তু তাদের কিছু ধরন থাকে| যথা:- ওয়ার্ক ভিসা যেটা চাকরির জন্য হয়ে থাকে, স্টুডেন্ট ভিসা শিক্ষার জন্য ও টুরিস্ট ভিসা ছুটি কাটানোর হয়ে থাকে|

ফ্লাইট বুকিং: ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে ফ্লাইট বুকিং করতে হবে| বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আপনি মালয়েশিয়ার জন্য সরাসরি ফ্লাইট বুকিং করতে পারবেন|

গুরুত্বপূর্ণ কথা: ভ্রমণের আগে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র| যথা: ভিসা, পাসপোর্ট, টিকিট ইত্যাদি| সকল কিছু ভালো করে গুছিয়ে রাখবেন এবং মালোশিয়া হাইকমিশন এর সাথে যোগাযোগ করে রাখবেন| প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যেসব সরকারি এজেন্সি গুলো রয়েছে তাদের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন|

মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলো

মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুলো| মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য অনেক বাংলাদেশী মানুষ যাওয়ার জন্য আকর্ষণীয় হয়ে থাকে| কিন্তু তারা জানেনা সেখানে ভ্রমণের জন্য কি কি কাগজপত্র গুলো তাদের প্রয়োজন হয়| সে বিষয় নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব| আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে ও তার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের হতে হবে|

পাসপোর্টে প্রায় তিনটি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকা লাগবে| ভিসা আবেদনের সময় আপনার উদ্দেশ্য সেখানে প্রকাশ করতে হবে| আপনি কি জন্য মালয়েশিয়াতে যেতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে| বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ও আসার জন্য ফ্লাইট বুকিং করতে হবে| এগুলো বাদে আরো কিছু কাজ রয়েছে|

আরো পড়ুন:

যেগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে| মালয়েশিয়া ভ্রমণে যাওয়ার পর সেখানে থাকার জন্য হোটেল বুকিং করতে হবে| আপনি জরুরী চিকিৎসার জন্য বা স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্বাস্থ্য বীমা করতে পারেন| জন্ম সনদ ও পরিচয় পত্র সঙ্গে নিয়ে নিবেন যদি সেখানে প্রয়োজন হয়ে থাকে|

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া| মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে ভ্রমণের উদ্দেশ্য| এর উপর ভিত্তি করে তাদের ভিসার ধরন হয়ে থাকে| যেমন চাকরি, ব্যবসা, শিক্ষা ইত্যাদি| আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা নথি গুলো প্রস্তুত করে রাখতে হবে|

মালয়েশিয়া-টাকার-রেট-ও-যাওয়ার-উপায়

ভিসার ধরন: মালয়েশিয়া ভিসার ধরন নির্ভর করে আপনার উদ্দেশ্যের উপর| আপনি কি উদ্দেশ্যে মালেশিয়াতে যাবেন, স্টুডেন্ট ভিসা(শিক্ষার জন্য) ব্যবসায়িক ভিসা (ব্যবসার কাজের জন্য) টুরিস্ট ভিসা (ভ্রমণের জন্য) ও ওয়ার্ক ভিসা (চাকরির জন্য) হয়ে থাকে|

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আপনাকে ভিসা আবেদন ফরম মালয়েশিয়া দূতাবাস থেকে ডাউনলোড করতে হবে| পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস এর বেশি থাকতে হবে এবং তিন পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকা লাগবে| তার সঙ্গে লাগবে আপনার আশা ও যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিট ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি|

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বাদে আরো কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় বা কাগজপত্র লাগে| আপনাকে ভিসা আবেদন করার পর সেখানে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে| ভিসা অনুমোদিত হওয়ার পর সেটাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে| তবে ভিসা আবেদন করার পূর্বে আপনাকে সকল বিষয় ভালো করে দেখে নিতে হবে| তাতে কোন ভুল না হয় সেখানে আপনি নকল কাগজপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না| আর যে কোন সমস্যা বা তথ্য জানার জন্য মালয়েশিয়া দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করবেন|

মালয়েশিয়া টাকার রেট কত ও টাকা পাঠানোর নিয়ম

মালয়েশিয়া টাকার রেট কত ও টাকা পাঠানোর নিয়ম| দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়াতে অনেক বাংলাদেশী মানুষ সেখানে যেতে চাই| কিন্তু সেখানকার টাকার রেট ও পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে জানেনা|  শুধু বাংলাদেশী না অন্যান্য দেশের অনেক মানুষ এ সম্পর্কে তাদের অজানা| মালয়েশিয়াতে অবস্থান কৃত কিছু প্রবাসী রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো জানেনা|

আজকের এই হেডিং টির মধ্যে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব| মালয়েশিয়ার টাকার নাম হল রিংগিত সেই মালয়েশিয়ার এক রিঙ্গিত অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের টাকার রেট হয় প্রায় ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকা এর মত| তবে এটি ভিন্ন ও হতে পারে সেটি নির্ভর করে| মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক বা রেমিটেন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ভিত্তি করে|

পাঠানোর নিয়ম: আপনি যদি বৈধভাবে মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠান| তাহলে মোবাইল রেমিটেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন| এভাবে পাঠালে আপনি সরকারিভাবে ২.৫% ক্যাশ ইন্সেন্টিভ পেয়ে থাকবেন| হুন্ডি এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো থেকে বিরত থাকুন| কারণ এটি অবৈধ তাদের মাধ্যমে টাকা পাঠালে আপনি ঝুঁকির ওপর পড়তে পারেন|

এই জন্য আপনাকে সাবধান থাকতে হবে| টাকা পাঠানোর সময় আপনাকে বা রেমিটেন্স পাঠানোর সময়ে প্রাপকের নাম দিতে হবে| তার অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংক কোড সঠিকভাবে দিবেন| টাকা পাঠানোর আগে আপনি তাদের রেট ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন|

মালয়েশিয়া কাজ পাওয়ার যোগ্যতা ও সুযোগ সুবিধা

মালেশিয়া কাজ পাওয়ার যোগ্যতা ও সুযোগ সুবিধা| দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়াতে কাজ পাওয়ার জন্য| তাদের বিশেষ কিছু যোগ্যতার বিষয়ে তারা উল্লেখ করে রেখেছে| মালয়েশিয়াতে কাজ পাওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষার সেরকম প্রয়োজন হওয়া লাগে না| কারণ কৃষি, নির্মাণ ও সেবা খাতের জন্য উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় না| এগুলো বাদে তারা বিশেষ করে ইলেকট্রোশিয়ান, ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং এগুলোর উপর দক্ষ থাকলে তারা কাজ দিয়ে থাকে|

তাদের ভাষার উপর আপনার কিছুটা জ্ঞান থাকা লাগে| সেখানে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা অনেক বেশি| যথা:- রডমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, সেলাই ও ওয়েল্ডিং এই কাজগুলোর ওপর| আপনার দক্ষতা থাকলে একটি ভালো পরিমাণের টাকা আয় করা সম্ভব| সেখানে কৃষি সহ অন্যান্য যে সকল শারীরিক কাজগুলো রয়েছে| সেগুলোর জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ|

আরো পড়ুন:

কাজের কিছু ধরন হলো নির্মাণ, কৃষি খাত, কারখানা ও সেবা খাত| নির্মাণ (রড মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি ও ওয়েল্ডিং) কৃষি খাত (শাক সবজি চাষ, গাছ লাগানো, বাগান দেখাশোনা) কারখানা(খাদ্য, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি এসব কাজের জন্য কারখানায় অনেক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়) ও সেবা খাত(রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও ডেলিভারি করার জন্য কাজগুলো করার জন্য অনেক শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে)

সুযোগ সুবিধা: মালয়েশিয়াতে যে সকল সুযোগ সুবিধার আপনি পাবেন| যেমন ছুটি, বেতন, চিকিৎসা বা ভিসার সুবিধা সেখানে বেতন কাজের ধরন এর উপর নির্ভর করে| সেটি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে তবে কারখানার কাজের জন্য ভালো বেতন দেওয়া হয়| সেখানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রাখে|

মালয়েশিয়ার শ্রমিকরা তাদের দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পর ছুটি নিয়ে দেশে আসতে পারবে| ফ্যাক্টির ভিসা বা কৃষি ভিসা এই ভিসাতে কাজ খুব সহজেই পাওয়া যায়| সেখানে অনেক কোম্পানি আছে যারা এই ভিসার খরচ নিজেরাই দিয়ে থাকে|

মালয়েশিয়ায় টাকার রেট উঠানামা করার কারণ ও প্রভাব

মালয়েশিয়ায় টাকার রেট উঠানামা করার কারণ ও প্রভাব| এটি নির্ভর করে মুদ্রা চাহিদা ও যোগানের উপর| মুদ্রার চাহিদা যেমন হবে মালয়েশিয়া রিংগিতের রেট তেমন হবে| যখন চাহিদা বেশি হয় তখন রিংগিতের রেট বেশি হয় আর যখন কম হয় তখন রিঙ্গিত এর রেট কম হয়| এর ওপর ভিত্তি করে নিচে আমরা কিছু আলোচনা করব|

কারণ

মালয়েশিয়ার রিংগিত সেটি বাংলাদেশের রেটের উপর প্রভাবিত হলে যখন চাহিদা ও সরবরাহের এর ওপর ভিত্তি করে| যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজারে দাম উঠানামা করে ডলার ও অন্যান্য যে সকল প্রধান মুদ্রা গুলো| তখন রিঙ্গিতের মান পরিবর্তন হয়ে থাকে, এবং বাংলাদেশে রেট পরিবর্তন হতে থাকে| মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ এ দুইটি দেশের অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে| টাকার অবস্থা ও রেটের উপর প্রভাব ফেলে থাকে যখন আপনি মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবেন|

তখন রেমিটেন্সের পরিমাণ কম বেশি হলে সেখানে টাকার রেট ও কম বেশি হয়| মুদ্রার নীতিমালা কেন্দ্রীয় যে সকল ব্যাংকগুলো রয়েছে সেগুলোর উপরও রেটের পরিবর্তন হওয়ার উপর গুরুত্ব রাখে| মালয়েশিয়া হল তেল রপ্তানো রপ্তানিকারক একটি দেশ| সেখানে যখন তেলের দাম কমে তখন রিঙ্গিতের দাম ও কমে যায়| এগুলো হলো রেড উঠানামা করার কারণ|

প্রভাব

মালয়েশিয়ায় রিঙ্গিতে রেট কমলে সেখানকার প্রবাসীরা টাকা বেশি পাঠাতে পারে না| কারণ সেটির ক্ষেত্রে প্রাপকদের আয় করার উপর প্রভাব ফেলে থাকে| রিঙ্গিতের মান কমার ফলে তাদের আমদানি করতে বেশি টাকা ব্যয় হয়ে যায়| যখন মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের মান বেশি হয় তখন বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যগুলোর প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়|

রেটের উপর ভিত্তি করে মালয়েশিয়াতে অবস্থানকারী যে সকল প্রবাসীরা থাকে| তাদের খরচ কম বেশি হতে থাকে সেটি তাদের আয় করা সঞ্চয়ের উপর প্রভাব পড়ে| শুধু এগুলোই নয় রিঙ্গিতের মান কম বেশি হলে সেখানে ভবনের খরচও কম বেশি হয়ে যায়| যদি মালয়েশিয়াতে রিঙ্গিতের মান বেড়ে যায় তাহলে ভ্রমণ খরচ বেড়ে যায়|

মালয়েশিয়া রিংগিত থেকে টাকায় কনভার্ট করার পদ্ধতি

মালয়েশিয়া রিংগিত থেকে টাকায় কনভার্ট করার পদ্ধতি| মালয়েশিয়ার রিংগিত থেকে বাংলাদেশের টাকায় কনভার্ট করার কিছু সহজ পদ্ধতি আছে| যে বিষয়গুলি জানলে রিঙ্গিত থেকে টাকায় কনভার্ট করতে কোন সমস্যা হবে না|

যেমন:-ব্যাংক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে, অনলাইন মানি ট্রান্সফার, স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে, মোবাইল ওয়ালেট এর মাধ্যমে, মানি ট্রান্সফার অপারেটর, ফরেক্স মার্কেট, রেট কমার সময়, স্থানীয় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ| এগুলোর মধ্যে নিচে বিশেষ কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা হলো:-

ব্যাংক এক্সচেঞ্জর মাধ্যমে: মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠানোর পর| সেইটা আগে বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করার জন্য আপনাকে মানি এক্সচেঞ্জ অথবা ব্যাংকে গিয়ে টাকায় রূপান্তর করা লাগবে| সেখানে গিয়ে এক্সচেঞ্জে করার জন্য রেট কত সেটি আপনাকে জানতে হবে| মানি এক্সচেঞ্জ অফিসের কিছু কমিশন ফি রয়েছে|

অনলাইন মানি ট্রান্সফার সার্ভিস: অনলাইন মানি ট্রান্সফার সার্ভিস গুলো হলো| (যেমন PayPal,Transferwise,Remitly ইত্যাদি) এগুলোর মাধ্যমে রিংগিত থেকে টাকায় কনভার্ট করা যায়| ওয়েবসাইটে বা অ্যাপ এ গিয়ে সেখানে অ্যাকাউন্ট খোলার পর| রিংগিত থেকে টাকা পাঠানোর পরিমাণ ও ট্রান্সফার রেট চার্জ সেখানে দেখানো হয়ে থাকে| এখানকার সার্ভিস ফ্রি অনেক কম হয় কিছু সময় সেখান থেকে অফার পাওয়া যায়|

স্মার্ট ফোন অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে: স্মার্টফোনের কিছু অ্যাপ্লিকেশন| যথা:-Wise বা Revolut এগুলোর মাধ্যমে রিংগিত থেকে টাকায় কনভার্ট করা যায়| অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন তারপরে রিঙ্গিত থেকে টাকায় কনভার্ট করার রেট দেখুন এবং টাকায় কনভার্ট করে ফেলুন| এই অ্যাপ্লিকেশন গুলো অনেক কম চার্জ নিয়ে থাকে| তারা খুব ভালো রেট দিয়ে থাকে|

মালয়েশিয়া ভিসা প্রক্রিয়া ও কি কি দস্তাবেজ প্রয়োজন

মালয়েশিয়া ভিসা প্রক্রিয়া ও কি কি দস্তাবেজ প্রয়োজন| মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে আপনার সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর সেখানে বিভিন্ন হিসাব ধরণ ভিসার ধরন আছে বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা এগুলো হলো ভিসার ধরন|

মালয়েশিয়া-টাকার-রেট-ও-যাওয়ার-উপায়

ভিসা আবেদন: আপনার যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে ভিসার ধরন নির্ধারণ করতে হবে| তার জন্য আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন| কিন্তু মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট থেকে বা সংশ্লিষ্ট কোন দূতাবাস থেকে আবেদন করতে পারেন|

দূতাবাসে আপনাকে আবেদন জমা দিতে হবে সেটি আপনি মালয়েশিয়ার দূতাবাসে কাছে সরাসরি আবেদনের জমা দিতে পারেন| আপনার ভিসার ধরন এর উপর ভিত্তি করে তার ফি নির্ধারণ করা হয়| কিন্তু তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য কখনো তারা ডাক দিতে পারে|

দস্তাবেজ প্রয়োজন: ভিসা আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে করতে হবে| সেখানে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থাকা লাগবে| পাসপোর্ট সাইজের ছবি মালয়েশিয়া যাওয়া ও আসার টিকিট লাগবে| এগুলোর সঙ্গে সেখানে কাজ পাওয়ার যে প্রমান পত্র সেটি সঙ্গে নিবেন|

মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য সেরা সময় ও মৌসুম

মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য সেরা সময় ও মৌসুম| সেটি নির্ভর করে আপনার যাওয়ার ওপর ভিত্তি করে আপনি কোন সময় এবং কোন ধরনের অভিজ্ঞতা চাচ্ছেন সেটার উপর| মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সেরা কিছু মৌসুম নিয়ে আলোচনা করা হলো|

শুকনো (মার্চ-অক্টোবর)

মার্চ ও অক্টোবর এই সময় মালয়েশিয়াতে তাপমাত্রা অনেক আরামদায়ক থাকে এবং এ সময় সেখানে বৃষ্টিপাত অনেক কম হয় আর এটি ভ্রমণের জন্য সেরা সময়| কি সময় গুলোতে যখন আপনি শহর, আউটডোর ও অন্যান্য যে সকল জায়গা গুলো করার জন্য রয়েছে এইসব জায়গাগুলো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন এ সময় বৃষ্টির ঝুঁকে অনেক কমে থাকে|

আরো পড়ুন:

বর্ষাকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি)

নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি এই সময় পূর্ব উপকূল বৃষ্টিপাত হয়| তবে এ সময় পশ্চিম উপকূল গুলোতে ভ্রমণের জন্য আপনার সেরা সময় হবে| নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি এই সময় মালয়েশিয়াতে বর্ষাকাল এ সময় এ সময় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম থাকে| জায়গা গুলো আপনি খুব ভালোভাবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঘুরতে পারবে| আর সাশ্রয়ী ভাবে সেখানে থাকার সুযোগ পাবেন|

পরামর্শ

মালয়েশিয়াতে ভ্রমণের জন্য আপনার সবচাইতে সেরা সময় ও মৌসুম যেটি| সেটি হল মার্চ ও অক্টোবর এই সময়টায় আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন| মার্চ অক্টোবর মাসে বৃষ্টি কম থাকে| পর্যটকদের ভিড় কম থাকে| আর সীমিত বাজেটের মধ্যে যাওয়ার জন্য আপনি অক্টোবর-মার্চ মাসে মালয়েশিয়াতে ভ্রমণে যেতে পারেন|

শেষ মন্তব্য: মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায়

মালয়েশিয়া টাকার রেট ও যাওয়ার উপায় নিয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেলটি মধ্যে আমরা যে সকল বিষয়গুলো তুলে ধরেছি| সেগুলো মেনে আপনি টাকার রেট ও যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারবেন| এ আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা সেই সকল কথাগুলো তুলে ধরেছি যেগুলো আপনার জানা প্রয়োজন|

আশা করি আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার পর আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে| যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন| আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করবেন ধন্যবাদ|

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url