খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগণ উপাদান| খেজুর গুড় প্রাচীনকাল থেকে আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে রয়েছে| কিন্তু শুধুমাত্র মিষ্টির জন্য নয় এটি আমাদের অনেক পুষ্টিগুণ যোগায় ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী| খেজুরের গুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও আয়রন ইত্যাদি| যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে| এগুলো ছাড়া খেজুরের গুড়ের উপকারিতা সম্পর্কে| আরো যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব|
পেজ সূচিপত্র: খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান
- খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ উপাদান
- খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে খেজুরের গুড়ের ভূমিকা
- খেজুরের গুড় রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে
- খেজুরের গুড় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা
- খেজুরের গুড় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে
- খেজুরের গুড় তৈরি করার উপায়
- খেজুরের গুড় খেলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করে
- খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান নিয়ে শেষ কথা
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ উপাদান
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ উপাদান| খেজুরের গুড় স্বাস্থ্যকর ও
মিষ্টি একটি খাবার এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর| এটি সাধারণত খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি
হয়ে থাকে| আর এটি শীতকালে অনেক জনপ্রিয়| নিচে উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ উপাদান
নিয়ে আলোচনা করা হলো:-
উপকারিতা:
খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় তবে
বিশেষ করে শীতকালে|গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে| গুড়ে থাকা খনিজ উপাদান ও
আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রাকে বাড়িয়ে দেই |খেজুরের গুড়ে ফাইবার রয়েছে এ
ফাইবার আমাদের খাবার হজমের জন্য সাহায্য করে| তবে গুড় শীতকালে খেলে গলা
ব্যথা, কাশি ও ঠান্ডা থেকে দূরে রাখে|
পুষ্টিগুণ উপাদান:
খেজুর গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে পারে| আয়রন রক্তশূন্যতা কমাতে পারে গুড়ে রয়েছে বেশি পরিমাণে আয়রন| খেজুরের মধ্যে রয়েছে আরো কিছু পুষ্টিগুণ উপাদান| যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম| এজন্য এটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলোকে ধ্বংস করে| দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে আমাদের হার্টের সুস্থতাকে বজায় রাখতে সহায়তা করে|
আর স্নায়ু তন্ত্রের উন্নতি ঘটায় তবে আপনি যদি সকালে গরম দুধের সঙ্গে খেজুর গুড়
মিশিয়ে খেতে পারেন| তাহলে শক্তি পাবেন, গুড় আমাদের পায়েস, রুটি, এবং অন্যান্য
মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির জন্য এটি ব্যবহার করা হয়| কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের
পরিমাণ মতো খেতে হবে| খেজুরের গুড় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও
সঠিক নিয়মে খাওয়া লাগবে|
খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা| খেজুরের গুড় জনপ্রিয় প্রকৃতিক
মিষ্টি একটি খাবার এটি শীতকালে বেশি খাওয়া হয়| এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
উপাদান স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য এটি অনেক পরিচিত| কিন্তু এটি অতিরিক্ত
খাওয়ার ফলে কিছু অপকারিতা রয়েছে|
উপকারিতা
খেজুর গুড়ের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস,
ক্যালসিয়াম ও এটি খনিজ সমৃদ্ধ| যা আমাদের দেহের নানা কার্যকলাপে সাহায্য
করে| এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে শক্তিশালী করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলে| এটি খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয় কারণে এতে রয়েছে
ফাইবার| শুধু এগুলোই নয়, খেজুরের গুড় খাওয়ার কারণে চুল ও ত্বক ভালো থাকে| চুল
মজবুত হয় আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়|
অপকারিতা
খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি অনেক পরিমাণে বেশি| যাও খাওয়ার ফলে শর্করার
মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে| তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সাবধানে গ্রহণ করা
উচিত| ক্যালরি আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং গুড় অতিরিক্ত খেলে
ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়| গুড় খাওয়ার ফলে আরো বেশ কিছু অপকারিতা হয়| আমাদের
দাঁতের ক্ষতি হয় এতে থাকা চিনি দাঁতের ক্যাভিটি ও ক্ষয় এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
গুড় আমাদের শরীরের এলার্জি হওয়ার কারণ যেমন চুলকানি|
হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে খেজুরের গুড়ের ভূমিকা
হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে খেজুরের গুড়ের ভূমিকা| খেজুরের গুড় হাড় ও দাঁত এর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ উপকারী| এতে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো ও খনিজ যা হাড় ও দাঁতের গঠন ভালো রাখে এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে| খেজুরের গুড়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন| গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে এটি হাড় ও দাঁতের গঠন ঠিক রাখে|
আর তার দৃঢ়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে| ফসফরাস হাড় ও দাঁত এর পূর্ণ গঠন করতে সহায়তা করে| পটাশিয়াম আমাদের শরীরের খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখে| এবং হাড়ের ঘনত্ব ভালো রাখতে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে পটাশিয়ামের| ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের দাঁতের মাড়িকে শক্ত ও মজবুত করে|
আরো পড়ুন:
হাড় ও দাঁতের উপকার পাওয়ার জন্য খেজুরের গুড় আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে
খাবেন এটি বেশ উপকারী| এজন্য খেজুর গুড় নিয়ম ও পরিমাণ অনুযায়ী খেলে আমাদের
অনেক উপকারে আসে| অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
হতে পারে| তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে|
খেজুরের গুড় রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে
খেজুরের গুড় রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে| এটি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এতে রয়েছে পুষ্টিগুণ ও প্রাকৃতিক উপাদান| খেজুরের গুড়ে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের কোষ কে ক্ষতিকারক| রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় আয়রন আমাদের এনিমিয়া দূর করে ও রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়|
দেহকে শক্তিশালী করে আমাদের শরীরকে গরম রাখতে খেজুরের গুড়ের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে| সর্দি-কাশি ঠান্ডাজনিত অসুখগুলো প্রতিরোধ করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক| এজন্য আমাদের সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খেজুর গুড় গ্রহণ করা উচিত| কারণ এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিছু ক্ষতি হতে পারে|
এজন্য আমরা সঠিক নিয়ম মেনে খেজুর উপর গ্রহণ করব, এটি আমাদের শরীরের নানা ধরনের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে| দাঁত ও হাড় ভালো থাকে এটি অনেক আগে থেকেই
মানুষেরা খেজুরের রস থেকে তৈরি করে| তার পর সেটি রুটি, পায়েস ও বিভিন্ন
মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্য ব্যবহার করে থাকে|
খেজুরের গুড় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
খেজুরের গুড় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে| এতে থাকা পুষ্টিগুণ উপাদান চুলের গঠনকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে দেই| এতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট|
ত্বকের উপকারিতা
খেজুরের গুড়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেই| এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আমাদের ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে| এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে| গুড়ে আছে ভিটামিন, সেলেনিয়াম এগুলো কোলাজেন বাড়িয়ে দেয়| বয়সের ছাপ কমাতে থাকে|
চুলের উপকারিতা
খেজুরের গুড়ে আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন যা আমাদের শক্তিশালী করে। চুল পড়া কমানোর জন্য আয়রন আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে দেয়| এবং চুলের পুষ্টি যোগায় চুল পড়া কমাই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়| এবং খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা| গুড়ের উপকারিতা এর
সীমাবদ্ধতা থেকে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন| খেজুরের গুড় প্রাকৃতিক ভাবে একটু
মিষ্টি ও পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ| গুড় আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়| তবে ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু নির্দিষ্ট শর্তের মাধ্যমে ও পরিমাণ অনুযায়ী
খেলে উপকার হতে পারে| এখন আমরা সতর্কতা ও উপকারিতা নিয়ে উল্লেখ করব|
উপকারিতা
খেজুর গুড়ে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে কিন্তু এটি কৃত্রিমটি চিনির থেকে অনেক ভালো|
আর এটিতে কম পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত চিনি থাকে| খেজুরের গুড়ে ম্যাগনেসিয়াম,
পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ আরো কিছু পুষ্টিকর উপাদান ও খনিজ
উপাদান রয়েছে| যেটি গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী| গুড় আমাদের
প্রাকৃতিকভাবে শক্তি যোগানোর কাজ করে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখে| তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারবে|
সতর্কতা
গুড়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উচ্চমাত্রায় রয়েছে যা আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রাকে বাড়ায়| আর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সমস্যা হওয়ার কারণ| খেজুরের গুড় অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত নয়| এজন্য তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে বাজারে খেজুরের গুড় ভেজাল যুক্ত করে অনেক সময় বিক্রি করা হয়|
আরো পড়ুন:
এবং এগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে| গুড় খাওয়ার পর
আমাদের রক্তের শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত| বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের
ক্ষেত্রে| যদি আপনি খেজুরের গুড় খেতে চান তাহলে খুব সামান্য পরিমাণে খাবেন|
কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে খেজুরের গুড় খাওয়া উচিত নয়|
খেজুরের গুড় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে
খেজুরের গুড় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক হতে পারে| কিন্তু সেটি নির্ভর করে ব্যবহার পদ্ধতির ও খাওয়ার পরিমাণের ওপর| এটি পুষ্টিগুণ উপাদান ও প্রাকৃতিক চিনিতে ভরপুর তার জন্য ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকা উচিত| এখন খেজুর গুড় ওজন নিয়ন্ত্রণে কতটা ভূমিকা রাখে সে বিষয় নিয়ে কথা বলব| খেজুরের গুড় কৃত্রিম মিষ্টি ও চিনির থেকে ভালো একটি বিকল্প রাখে|
আমাদের দেহের ক্ষতি কম করে ও পুষ্টিগুণ বেশি সরবরাহ করে থাকে| কিন্তু মিষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য যদি আমরা এটিকে ব্যবহার করি তাহলে অতিরিক্ত ক্যালোরি থেকে এড়ানো সম্ভব হয়| খেজুরের গুড় বিপাক প্রক্রিয়াকে অনেক উন্নতি করে আর ভালো বিপাক প্রক্রিয়া আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে|
এগুলো হয় খেজুরে গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ইত্যাদি
এগুলোর মাধ্যমে| গুড়ের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট আমাদের শক্তি প্রদান করে ও
দীর্ঘ সময় ক্ষুধার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে| হজম প্রক্রিয়া উন্নতি করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্যর বা বমি সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে খেজুরের গুড়|
সতর্কতা: খেজুরের গুঁড়ে আছে ক্যালরি এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে
যায়| এজন্য পরিমাণ মতো খেতে হবে আমাদের রক্তের শর্করা এর মাত্রা
বাড়িয়ে দেই খেজুরের গুড়| তবে প্রতিদিন ১-২ চামচের এর বেশি গ্রহণ করা উচিত
নয় যারা ওজন কমাতে চান তারা|
খেজুরের গুড় তৈরি করার উপায়
খেজুরের গুড় তৈরি করার উপায়| খেজুরের গুড় আমরা প্রাচীন পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা যায়| এটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত খেজুরের গুড় তৈরি করার জন্য প্রথমে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে হবে |খেজুরের রস কিভাবে সংগ্রহ করতে হয় সে সম্পর্কে আগে আমরা জেনে নিই| খেজুর গাছ থেকে কাণ্ড পরিষ্কার করে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি স্থান কেটে রাখতে হবে| সেই স্থানে মাটির কলস ঝুলিয়ে রেখে দিলে খেজুর গাছ থেকে রাত্রে যে রস পড়ে সেগুলো সংগ্রহ করা যাবে|
এগুলো শীতকালে করা হয় এবং সে সময় রস একটু বেশি মিষ্টি হয়| সংগ্রহ করে সেই রসকে ছেঁকে নিতে হবে যেন অপ্রয়োজনীয় ময়লা গুলো না থাকে| আর এটি রান্নার জন্য প্রস্তুত করতে হবে না হলে রস নষ্ট হয়ে যাবে| একটি বড় মাটির বা লোহার পাত্রে রস ঢালার পর সেটিকে উচ্চতাপে গরম করতে হবে| এবং ক্রমাগত নাড়া দেওয়া লাগবে সেই রস গাঢ় হবে এবং আরো মিষ্টি হতে থাকবে|
তারপর সেটিকে একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে নিতে হবে এরপর যখন সেটি ঠান্ডা হবে| তখন
ধীরে ধীরে শক্ত আকার ধারণ করবে শক্ত হওয়ার পর সেটিকে বিভিন্ন রকম ভাবে কাটা
যাবে| এগুলো শুকনো জাগায় সংরক্ষণ করতে হবে কিন্তু রস উচ্চতাপে রান্না করার সময়|
পরিমাণ মতো তাপ দিয়ে রান্না করতে হবে না হলে তিতা ও পোড়া হয়ে যাবে।
খেজুরের গুড় খেলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করে
খেজুরের গুড় খেলে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করার জন্য ভূমিকা রাখে| এটি দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে কারণ প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিগুণ উপাদানে ভরপুর| দ্রুত গ্লুকোজে রুপান্তরিত করে খেজুর গুড়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করার মাধ্যমে| খেজুরের গুড়ে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রকে শীতল করে আর শরীরের ক্লান্তি দূর করে ও মানসিক চাপ দূর করে|
আরো পড়ুন:
গুড়ে আয়রন সহ অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায় শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে ও ক্লান্তি দূর করে | গুড় মেজাজ ধরে রাখতে ও হরমোন ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়| শুধু এগুলোই নয় এটি আমাদের খাবার হজমে সাহায্য করে তবে আপনি যদি গরম পানির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খান| তাহলে মনকে শান্ত ও শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে|
প্রতিদিন ১-২ চামচ গুড় খাবেন কিন্তু দুধ, গরম পানি অথবা গুড়ের চা করে খেলে
উপকার বেশি পাবেন| গুড় প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাদ্য হওয়ার কারণে মানসিক চাপ ও
ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রশান্ত করে আর শরীরে শক্তি সরবরাহ করে থাকে| তবে
ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উত্তম|
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান নিয়ে শেষ কথা:
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও ১৫ টি পুষ্টিগুণ উপাদান নিয়ে শেষ কথা হল| খেজুরের গুড় প্রাচীনকাল থেকে আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির মধ্যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে| খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে বিশেষ করে যে উপকার গুলো হয়ে থাকে| এটি গ্রহণের ফলে হাড় শক্ত করে দাঁত মজবুত রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ত্বক উজ্জ্বল ও চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে| মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করে ইত্যাদি|
আরো বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায় খেজুর গুড় খাওয়ার মাধ্যমে| আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনি খেজুরের গুড় সম্পর্কে| যে সকল উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন| আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবে| আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে রাখবেন ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url