খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও ১০টি পুষ্টিগুণ

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা| খেজুর একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ফল যেটি পুরো বিশ্ব জুড়ে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে অনেক জনপ্রিয়| খেজুরের প্রাচুর্য রয়েছে আরব দেশ গুলিতে সেখানে তারা এটিকে একটি প্রধান খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে| খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও শক্তি|

খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-ও-১০টি-পুষ্টিগুণ

যা আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়তা করে| রমজান মাসে এশিয়া মহাদেশ গুলোতে মুসলমানরা তাদের ইফতারে বেশ পছন্দের একটি খাবার| এই আর্টিকেলটির মধ্যে ১০টি পুষ্টিগুণ ও খেজুর খাওয়ার কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব|

পেজ সূচিপত্র: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও ১০টি পুষ্টিগুণ

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ| খেজুর আমাদের একটি পুষ্টিকর খাবার যেটির সুষম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়| খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়| খেজুরের মধ্যে আরো নানা ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান যেমন ভিটামিন , মিনারেল, ফাইবারের মতো পুষ্টি গুণ গুলো|

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা: খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে তাতে থাকা চিনি যেমন- গ্লুকোজ থাকাই আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় এবং আমরা দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারি| খেজুরে যে ফাইবার রয়েছে সেটি আমাদের হজম শক্তিকে উন্নতি করে| বং কণ্ঠকাঠিন্য সমস্যা গুলো দূর করে| এই খেজুর খাওয়ার ফলে হৃদরোগ, হাড়, দাঁত, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি এসব বিষয়ে অনেক কাজ আসে|

খেজুরের পুষ্টিগুণ: খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ গুলোর ঘাট থেকে পূরণ করতে সহায়তা করে| এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, শর্করা, ক্যালোরি ইত্যাদি| আমরা যদি প্রতিনিয়ত খেজুর খেয়ে থাকি, তাহলে সেটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী|

খেজুর খেলে দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে

খেজুর খেলে দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে| কারণ খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়ামের মতো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণ উপাদান| আর এগুলোই দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে| এই পুষ্টিগুণ গুলো হাড় ক্ষয় থেকে দূরে রাখে এবং দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করে| খেজুরে থাকা ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এ দুইটি হাড় ক্ষয়কে রোধ করে|

আর হাড়কে অনেক শক্ত করে কারণ বয়স হবার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়| তাই এটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে| দাঁত মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে আর ক্যালসিয়াম পাওয়ার জন্য| আমাদের প্রতিনিয়ত খেজুর খেতে হবে|

খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করে এবং ক্যাভিটির মতো রোগ থেকে রক্ষা করে| এগুলো ছাড়াও খেজুরের বিভিন্ন ধরনের খনিজ আর ভিটামিন আছে যা দাঁতের সঙ্গে সঙ্গে মাড়িকে সুস্থ রাখে| এতে করে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আমরা খেজুর খেতে পারি|

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা| গর্ভবস্থায় খেজুর খেলে অনেক উপকার হবে| কারণ এতে যে পুষ্টিগুণ গুলো রয়েছে, তা মা ও শিশুর জন্য খুবই ভালো এবং তাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে| তবে এটি নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে কারণ খেজুরের যেমন উপকার রয়েছে| তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক আছে, এজন্য গর্ভবস্থায় খেজুর খাওয়ার সময় নিয়ম গুলো মেনে খেতে হবে|

খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-ও-১০টি-পুষ্টিগুণ

গর্ভাবস্থায় খেজুরের উপকারিতা: খেজুরে রয়েছে চিনি যেমন গ্লুকোজ যেটা গর্ভবতী কোন মা যদি গ্রহণ করে তাহলে সে দ্রুত শক্তি পাবে| খেজুরে থাকা ফাইবার হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলে এবং কণ্ঠ কাঠিন্য দূর করে| যা প্রায় গর্ভবতীদের হয়ে থাকে, খেজুরে রয়েছে আরো কিছু পুষ্টিগণ উপাদান|

যেমন আয়রন আপনার রক্তস্বল্পতা হওয়া থেকে রক্ষা করবে| এবং হাড় শক্ত করার জন্য খেজুরে রয়েছে ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি| আরো কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেগুলো মা ও শিশুর হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে|

আরো পড়ুন:

গর্ভবস্থায় খেজুরের অপকারিতা: খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে আপনার রক্ত রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দেই| তবে অনেক গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হবে| সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে| খেজুরে থাকা ক্যালরী আপনার ওজন বৃদ্ধি করে দিতে পারে|

যা গর্ভবস্থায় ওজন বৃদ্ধির কারণ হবে| খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে তাপ উৎপন্ন করে থাকে| এই খেজুর খাওয়ার ফলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার| ফলে কিন্তু ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, তবে গর্ভবতী মায়েরা দৈনিক দুই থেকে তিনটি খেজুর খেতে পারবে|

খেজুর হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে

খেজুর হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য| কারণ খেজুর রয়েছে অনেক পরিমানে ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আরো অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিগণ উপাদান| যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে| খেজুরে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের লেভেলটাকে কমাতে সাহায্য করে| তাতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি ও রক্তনালীতে জমাট বাঁধাকে প্রতিরোধ করে|

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য খেজুর খেতে হবে, খেজুরে থাকা পটাশিয়াম স্টকের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকি কমিয়ে দেই| অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন- ক্যারোটিনয়েড ও ফিনোলিক এসিড হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত করে| হৃদযন্ত্রকে ড্যামেজ হতে রক্ষা করে খেজুর খাওয়ার ফলে|

আমাদের হৃদযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী| খেজুর একটি মিষ্টি ফল এতে উচ্চ মাত্রার শর্করা না থাকায়| আমাদের শরীরে খুব সহজে গ্লুকোজের মাত্রা না বাড়ানোর| কারণে আমাদের হৃদযন্ত্র ভালো থাকে| খেজুর রয়েছে ক্যালরি যা আমাদের ওজনকে বাড়িয়ে দেয় ও হৃদরোগের ঝুঁকি ও বেড়ে যায়|

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের ভূমিকা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের ভূমিকা| কারণ খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে| খেজুরে থাকা যেসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে| এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মধ্যে রয়েছে ফেনোলিক অ্যাসিড| যেটা আমাদের শরীরকে মুক্ত মূল থেকে প্রতিরক্ষা করে| এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে|

এবং শরীরকে রোগ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে| খেজুরে রয়েছে অনেক পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়| আমাদের শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ গুলোকে ধ্বংস করে| খেজুরের আরো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে তাতে রয়েছে| প্রাকৃতিক চিনি যা আমাদের শরীরের শক্তি যোগায় ক্লান্তি দূর করে শরীরকে শক্ত করে রাখে|

আরো কিছু ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এর মত উন্নত মাত্রার পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো| এগুলো গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে| শরীরকে শক্তিশালী করবে রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমবে ইত্যাদি|

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা ও সতর্কতা

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা ও সতর্কতা| খেজুর খেলে আমরা যেমন উপকার পেয়ে থাকি এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিছু অপকারিতা রয়েছে| আরো রয়েছে খাওয়ার সঠিক সময়, নিয়মকানুন ও সতর্কতা|

খেজুর খাওয়ার অপকারিতা:

খেজুরে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে শর্করা যা আমাদের রক্তে মাত্রা বৃদ্ধি করে| এজন্য অতিরিক্ত খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতি হতে পারে| ওজন বৃদ্ধি করে খেজুরে থাকা ক্যালোরি এটি থাকার কারণে ওজন বৃদ্ধি করে| এর জন্য নিয়ম মেনে খেজুর খাওয়া উচিত| খেজুর খেলে দাঁত ক্ষয় হয় কারণ খেজুর রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি| যা খাওয়ার পর দাঁতে লেগে থাকে, সেটি ক্যাভিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে| এজন্য খেজুর খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করতে হবে| খেজুর এলার্জি ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে|

আরো পড়ুন:

খেজুর খাওয়ার কিছু সতর্কতা:

খেজুর খাওয়ার সময় পরিমাণ মতো খেজুর খেতে হবে| প্রতিদিন ২-৩ খেজুর খেতে হবে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী| কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত| খেজুর হওয়ার কিছু সময় রয়েছে যেমন- সকালে বা বিকেলে আপনি খেজুর খেতে পারেন| খেজুর খাওয়ার পর আপনি পানি পান করতে পারেন এটি পানি পান করতে সহায়ক হয়|

আর শক্তি ও গ্যাসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে| খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষতি হতে পারে| এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে| বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে|

খেজুর ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

খেজুর ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী| খেজুর খেলে ও আমাদের শরীরের জন্য উপকার পায় এমনটা মোটেও না| খেজুরের খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বক ও চুলের উপকার হয়ে থাকে|

ত্বকের জন্য উপকারী

খেজুরে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করে এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট| এটি খাওয়ার মাধ্যমে বয়স বাড়ার পর চেহারায় যে বয়সের ছাপ সেটিকে কমায়| কারণ খেজুর রয়েছে পলিফেনল প্রতিনিয়ত খেজুর খেলে| ত্বকের টান ঠিক থাকে আরো কিছু উপকার পাওয়া যায়| ত্বকের কোষ ও ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখে|

চুলের জন্য উপকারী

খেজুরে থাকে খনিজ, আয়রন ও অন্যান্য উপাদান যেগুলো চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়ার সমস্যা দূর করে| খেজুরের ভিটামিন বি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দেশ উপকারী এটি চুলকে বৃদ্ধি করে ও চুল অনেক ঘন করতে সাহায্য করে| খেজুরের তেল ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়, ও ত্বক মশ্চারাইজ করে তুলতে সহায়তা করে| খেজুরে থাকা আদ্রতা রুক্ষ চুলের জন্য বেশ কার্যকরী| উপরে উক্ত কাজগুলো করে ত্বক ও চুলে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে|

ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা| খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হলেও এটি সময় ও পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হবে কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে খেজুর একটি মিষ্টি ফল এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যেটি ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক উপকারে আসে তবে এটিকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে|

খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-ও-১০টি-পুষ্টিগুণ

ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুরের উপকারিতা

খেজুর রয়েছে শর্করা যেটা ডায়াবেটিস রোগীদের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে| তবে এটিকে পরিমাণ মতো খেতে হবে| ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলে আবার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণে যে শর্করা তাকে কমিয়ে দেয়| খেজুরে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ ইত্যাদি| আরো রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি|

আরো পড়ুন:

যা মানুষের দেহে সুষম খাদ্য উৎপন্ন করে| আর এগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ কার্যকরী উপাদান| খেজুর খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের কাজকে সহায়তা করে| কারণ এটি খাওয়ার পর রক্তে শর্করা মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না ধীরে ধীরে বাড়ে| এটি গবেষণা করার পর দেখা গিয়েছে|

সতর্কতা

খেজুরে রয়েছে চিনি ও ক্যালোরি যা ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে| এজন্য নিয়ম মেনে এটিকে গ্রহণ করতে হবে| তবে একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন ২-৩ টি খেজুর খেতে পারবেন| তবে চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত|

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও সতর্কতা| গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া অনেক কার্যকরী তবে এটাকে পরিমাণ এবং সতর্কতা গুলো মেনে গ্রহণ করা উচিত| খেজুরে রয়েছে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান যেগুলো মা ও শিশুর জন্য বেশ উপকারী| এটি খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মা ও শিশু শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকতে সাহায্য করে| তবে এটিকে উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করা যাবে না এতে সমস্যা হতে পারে|

উপকারিতা:

খেজুরের ভিটামিন ও কমিজ খনিজ উপাদান রয়েছে| যেগুলো গর্ভবতী মাকে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে পুষ্টির চাহিদা গুলো পূরণ করেন| খেজুরে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও আয়রন, পটাশিয়াম এগুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী| খেজুর খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে| হজমের সমস্যাগুলো দূর করে ইত্যাদি| এই খেজুর খাওয়ার কারণে সন্তান প্রসাবের সময় রক্তপাত কমিয়ে দিতে সাহায্য করে|

সতর্কতা:

খেজুরে ক্যালরি ও প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি আছে| যা অতিরিক্ত খেলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বেড়ে যায় ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে| প্রতিদিন গর্ভবতী মা ৩-৪ টি খেজুর খেতে পারবে| গর্ভবতী মায়ের যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে খেজুর খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে| এলার্জি অনেক মানুষের খেজুরে এলার্জি থাকে|

যদি গর্ভবতী খেজুর খাওয়ার ফলে এলার্জি থাকে তাহলে খেজুর খাওয়া যাবেনা| খেজুরে আছে ক্যালরি যা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবেনা ক্ষতি হতে পারে| তাই আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ ও দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খেজুর খাবো|

লেখকের শেষ কথা: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ যে সকল বিষয়গুলো আজকের এই পোস্টটির মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে| খেজুর খাবার নিয়ম, খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় ও পরিমাণ মতো খাওয়াসহ আরো যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে| উপকারিতা অপকারিতা সহ যে সকল সতর্কতা গুলো সহ এই পোস্টটির মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে|

সেগুলো মেনে আপনি খেজুর গ্রহণ করতে পারবেন| আজকের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ডিজিট করে রাখবেন| আরো এরকম কার্যকরী পোস্টগুলো পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ|

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url