হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি
হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি| হরমোন হলো শরীরের সুস্থতা পরিচালনা করার জন্য অন্যতম একটি উপাদান| হরমোন হলো শরীরের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ| যেটা দেহের ভিন্ন ভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে|
প্রজনন, ঘুম ও মানসিক এর উপর প্রভাব ফেলে থাকে| হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতি সহ| আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমরা এ আর্টিকেলটির মধ্যে আলোচনা করব|
পেজ সূচিপত্র: হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কি ও তার প্রভাব
- হরমোনের সমস্যা ও লক্ষণ গুলি চেনার উপায়
- হরমোনের ভারসাম্য ভালো রাখতে আদা খাওয়ার উপকারিতা
- হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি
- পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে হরমোনের সমস্যা দূর করা
- শারীরিক ব্যায়াম করে হরমোনের সমস্যা সমাধান করা
- আদা ও হলুদ ব্যবহার করে হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- হরমোন নিয়ন্ত্রনে পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা
- লেবু ও গরম পানি হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে
- হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে শেষ কথা:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কি ও তার প্রভাব
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা কি ও তার প্রভাব| শরীরে যদি হরমোনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম বা বেশি হয়ে যায়| তাহলে সেটাকে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বলে বুঝাই| হরমোন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে| এর জন্য হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হওয়ার ফলে শরীরে অনেক বড় একটি প্রভাব ফেলে| পিটুইটারি, প্রজনন, থাইরয়েড গ্রন্থী এইগুলো হলে বুঝতে পারবেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা শুরু হয়েছে|
হরমোন ভারসাম্যহীনতা এর প্রভাব গুলো হলো ত্বক ও চুলের সমস্যা, মানসিক পরিবর্তন, মাসিকের অনিয়ম, গর্ভধারণের সমস্যা ইত্যাদি ত্বক ও চুলের সমস্যা (প্রোজেস্টরনের অস্বাভাবিকতা হওয়ার কারণে চুল পড়া, ব্রণ ও শরীরে অতিরিক্ত লোম তৈরি হওয়া)
মাসিকের অনিয়ম(মেয়েদের প্রজনন হরমোন ভারসাম্যহীনতা হলে তাদের মাসিক চক্রে একটি ব্যাঘাত ঘটায় যেটি সন্তান ধারণের সমস্যার দিক হয়ে থাকে) গর্ভধারণের সমস্যা (মহিলাদের হরমোন ভারসাম্যহীনতা প্রজনন ক্ষমতা এর ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে থাকে যেটির কারণে তাদের গর্ভধারণ সমস্যা দেখা দেয়) |
কারণ:
হরমোন ভারসাম্যহীনতার হওয়ার কারণ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, ঘুমের সমস্যা, বয়স,
অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস ও পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি| তার জন্য সময়মতো সমস্যাটি
প্রতিরোধ করতে হবে| স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সমস্যাটি
দূর করতে হবে|
হরমোনের সমস্যা ও লক্ষণ গুলি চেনার উপায়
হরমোনের সমস্যা ও লক্ষণ গুলি চেনার উপায়| হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হওয়ার কারণে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কার্যকলাপ গুলোতে জটিলতার সৃষ্টি করে| এটি হয় দীর্ঘমেয়াদি যা দেহের স্বাভাবিক কর্মকে ব্যাহিত করে থাকে|
হরমোনের সমস্যার ও লক্ষণ চেনার উপায়:
ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া থাইরয়েড, ইনসুলিন এইগুলো শরীরের ওজন বাড়াতে বা
কমাতে পারে| আর এটি হয় শুধু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হওয়ার ফলে|
অতিরিক্ত ক্লান্তি: শত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও শরীর যেন ক্লান্ত হয়ে থাকে
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সমস্যা হওয়ার এটা অন্যতম কারণ|
হজমের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা করটিসল হজম
প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়| তাই ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, বা কণ্ঠকাঠিন্য হয়ে
থাকে|
আরো পড়ুন:
প্রজনন সমস্যা: পুরুষদের জন্য স্ট্যাম্পারের মাত্রা কমে যাওয়ায় ও
মহিলাদের সন্তান ধারণের এটি একটি সমস্যা হতে পারে|
সমস্যাটি চেনা:
- উপরে উল্লেখিত লক্ষণ গুলি থাকলে|
- সঠিক পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া|
উপরে হরমোনের সমস্যার বেশ কয়েকটা লক্ষণের মধ্যে কয়েকটা উল্লেখ করা হয়েছে| এই
সমস্যা দূর করার জন্য ও এর প্রভাবকে এড়ানোর জন্য খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে|
হরমোনের ভারসাম্য ভালো রাখতে আদা খাওয়ার উপকারিতা
হরমোনের ভারসাম্য ভালো রাখতে আদা খাওয়ার উপকারিতা| আদা হল একটি ভেষজ ড্র া যা
শতাব্দী ধরে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে আসছে তার মধ্যে হরমোনের ভারসাম্য
রক্ষা করতে আগার আদার ভূমিকা রয়েছে| আদা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং হরমোন
নিয়ন্ত্রণ করা একটি উপাদান|
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় আধা খাওয়ার উপকারিতা:
ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ: আদা আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করতে সহায়তা করে| যেটা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেশ কার্যকরী, এটি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী|
প্রজনন: প্রাকৃতিকভাবে আদা প্রজেক্টরে প্রদেশ প্রেরণ প্রজেস্টেরন এবং
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এটা মহিলাদের মেয়েদের জন্য বেশ উপকারী কারণ এটি
তাদের মাসিকের অনিয়ম অনিয়মের সমস্যা দূর করে
ত্বক ও ব্রণ সমস্যা: আদায় হয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আমাদের হরমোন জনিত ত্বকের বা ব্রণের সমস্যাগুলোকে খুব দ্রুত সমাধান করে থাকে|
আদার ব্যবহার:
- আমরা আদা চা তৈরি করে খেতে পারি|
- রান্না করার ক্ষেত্রে আদা ব্যবহার করি|
- আদা ও মধু গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন|
সতর্কতা:
আদা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে অতিরিক্ত আদা খেলে আমাদের হজমের সমস্যা
হবে| তবে গর্ভবতী মহিলারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আদা খাওয়া লাগবে|
হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি
হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি| হরমোন ভারসাম্যাহীন তার কারণে
আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে| তবে পুষ্টিকর খাদ্য অভ্যাস ও প্রাকৃতিক
উপাদান গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়| আর মনের হর মনের হরমোন
সমস্যা দূর করার জন্য নিজে কিছু আলোচনা করা হল:-
পুষ্টিকর খাদ্যভ্যাস:
স্বাস্থ্যকর চর্বি: নারকেলের তেল, বাদাম, ওমেগা-৩ ফ্যাট এসিড সমৃদ্ধ
খাবারগুলো আমাদের হরমোনের সমস্যাগুলো রক্ষা করতে সাহায্য করে|
ফলমূল ও শাকসবজি: পালং শাক, পুইশাক, বিট ইত্যাদি এগুলো খেলে আমাদের
প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা রক্ষা করতে সহায়তা করে|
প্রোটিন: মাছ, মুরগি, দই, ডিম ইত্যাদি রয়েছে এগুলোতে রয়েছে প্রোটিন
যেগুলোর মাধ্যমে হরমোনের সমস্যা দূর হয়|
প্রাকৃতিক উপাদান: মধু, মেথি বীজ, তুলসী পাতা, আদা ও আপেলের সাইডার
ভিনেগার ইত্যাদি| মধু সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে খেলে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা থাকে|
আমাদের মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে খালি পেটে পান করা হয়| তুলসী পাতা আমরা
চায়ের সঙ্গে অথবা চিবিয়ে খেতে পারে তাতে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে| আপেলের সাইডার
ভিনেগার বেশ কিছু উপকারে আসে তার মধ্যে এটি আমাদের ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা
বাড়িয়ে তুলে এটি আপনি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন|
চিকিৎসকের পরামর্শ: আমরা ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করার পাশাপাশি যদি বেশি
সমস্যা দেখাতে| তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার সমাধান
করতে পারি| ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আমাদের হরমোনের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে
এবং এগুলো নিরাপদ|
পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে হরমোন সমস্যা দূর করা
পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে হরমোন সমস্যা দূর করা| সঠিক নিয়মে খাদ্যঅভ্যাস করলে
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখে| আমাদের শরীরের হরমোনকে
ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত ও সঠিক নিয়মে খেতে হবে|
পুষ্টিকর খাবার হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
প্রোটিন যুক্ত খাবার: মাছ, ডিম, দই এগুলো হলো প্রোটিনযুক্ত খাবার মাছে রয়েছে সারডিন, সালমন, ওমেগা-৩ ফ্যাট এসিড সমৃদ্ধ যা আমাদের হরমোনের প্রদাহ কমিয়ে তুলে| দই ও ডিম এগুলো আমাদের হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে| এগুলো বাদে আরো কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো হরমোনের জন্য উপকারী|
চর্বিযুক্ত, শাক-সবজি ও ফলমূল: যেমন নারিকেল, বাদাম ইত্যাদি হলো চর্বিযুক্ত খাবার| আরো হলো পালং শাক, পুঁইশাক, কলা, আপেল ইত্যাদি| ভিটামিন যুক্ত কিছু খাবার হল মাশরুম, দারুচিনি, ডিমের কুসুম ও ডার্ক চকলেট|
আরো পড়ুন:
এড়িয়ে চলা খাবার ও পরামর্শ: প্রক্রিয়াজাত চিনি যা আমাদের ইনসুলিনকে বৃদ্ধি করে দেই| ট্রান্স ফ্যাট আমাদের প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে| আর কিছু পরামর্শ হলো আমাদের সঠিক সময়ে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা লাগবে| সঠিক পরিমাণে খাবার ও প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা লাগবে|
তবে মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন করা লাগে| সঠিক নিয়মে ও খাদ্যভ্যাস ঠিক
রাখতে হবে |তাহলে হরমোন জনিত যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সমাধান করা খুব সহজ হবে|
তবে অতিরিক্ত কিছু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে|
শারীরিক ব্যায়াম করে হরমোনের সমস্যার সমাধান করা
শারীরিক ব্যায়াম করে হরমোনের সমস্যার সমাধান করা| শারীরিক ব্যায়াম করার
ক্ষেত্রে আমাদের দেহে যেসব হরমোন জনিত সমস্যা গুলো থাকে সেগুলোকে সমাধান করতে সহজ
হয়। ব্যায়াম আমাদের শরীর শরীরের হরমোনকে স্বাভাবিক ও আমাদের হরমোনের ভারসাম্য
ঠিক রাখতে সহায়তা করে|
ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্টেন্স: শারীরিক ব্যায়াম গুলো হল যেমন
দৌড়ানো, হাটাহাটি করা, পুষ আপ, সাইকেলিং ইত্যাদি| এগুলো করার ফলে আমাদের ইনসুলিন
কে উন্নত করতে পারে| রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সহায়তা
করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে|
থাইরয়েড ফাংশন: ইনটেনসিটি ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে| যে
অতিরিক্ত পরিমাণে করটিসল নিঃসরণ করে থাইরয়েড এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে| হরমোনের
ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে|
কিছু সতর্কতা: পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে
বিশ্রাম নিতে হবে এগুলো করার ফলে হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে| তবে কোন দীর্ঘমেয়াদি
হরমোন সমস্যা যদি থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে|
আদা ও হলুদ ব্যবহার করে হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা
আদা ও হলুদ ব্যবহার করে হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা| আদা ও হলুদ প্রকৃতিক উপাদান যেগুলো আমাদের হরমোন নিয়ন্ত্রণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে| এতে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট যা হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে ও গুণাবলী গুলোকে বাড়িয়ে তোলে|
আদা এর উপকারিতা: আদা আদা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে| এটি ডায়াবেটিস এর মত রোগকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে| এক কাপ গরম পানির মধ্যে কিছু আদা কুচি দিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্রতিনিয়ত আপনি পান করতে পারেন| আদা দেহের প্রদাহ কমায় এবং মহিলাদের মাসিক চক্রকে নিয়মিত করে রাখে| যা পলিসিস্টিক চক্র অনিয়মিত থাকলে তাকে ঠিক করতে সহায়তা করে থাকে| আদা আপনি সালাদে, তরকারিতে, শুপে ব্যবহার করতে পারেন|
হলুদ এর উপকারিতা: হলুদ শরীরের মেটাবলিজমকে উন্নত করে| থাইরয়েড ফাংশন গুলোকে উন্নত করে, হলুদ আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন| হলুদ আমাদের মস্তিষ্কের যে হরমোন রয়েছে তাকে উন্নত করতে সাহায্য করে| হলুদের রয়েছে ডোপামেল যা আমাদের মানসিক চাপ গুলোকে কমায় আপনি হলুদ চা খেতে পারেন|
আরো পড়ুন:
তার জন্য হলুদের গুঁড়ো ও আদা কুচি মিশানো লাগবে| হলুদ ও আদা মিশ্রণ করতে হলুদের
গুঁড়ো, এক কাপ পানি ও সামান্য পরিমাণে আদা মিশিয়ে নিতে হবে| এর সঙ্গে আপনি
অতিরিক্ত মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন|
হরমোন নিয়ন্ত্রনে পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা
হরমোন নিয়ন্ত্রণে পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা| আমাদের দেহের হরমোন নিয়ন্ত্রণে
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ| এ পুষ্টিকর খাবার সঠিক নির্বাচন করে
পরিমাণ মতো ঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে গ্রহণ করলে| তা হরমোনের জন্য বেশ উপকারী
হয়, হরমোন জনিত সমস্যা গুলো| যথা:- পলিসিস্টিক, ইনসুলিন, রেজিস্ট্যান্স ইত্যাদি|
এইসব সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে থাকে|
হরমোন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা: পুষ্টিকর খাবার আমাদের দেহের যে সকল ভিটামিন প্রয়োজন সেগুলো কে প্রদাহ করে ফ্যাটের শিট এসিড সরবরাহ করে থাকে যা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে|
রক্তের শর্করা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ: গ্লাইসেমিক আমাদের রক্তের শর্করা
মাত্রা ঠিক রাখে ও ইনসুলিনকে রক্ষা করে| কিছু পুষ্টিকর খাবার যেগুলো হরমোন
নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী ডাল, ছোলা,, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম এগুলোতে রয়েছে
প্রোটিন| যেগুলো আমাদের দেহে অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে থাকে |যেগুলো হরমোন
নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী| চর্বি, মিনারেল সমীদ্ধ, খাবার গুলো খাওয়া যাবে|
পরামর্শ: আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে না হলে| যদি আমরা
অতিরিক্ত খাওয়া অথবা খাবার না খেয়ে থাকে তাহলে হরমোনের সমস্যা হতে পারে| পানি
পান করা আমাদের হরমোন নিয়ন্ত্রণে অনেক ভূমিকা রাখে, এছাড়াও আপনি নিয়মিত
ব্যায়াম করতে পারেন|
লেবু ও গরম পানি হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে
লেবু ও গরম পানি হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে| লেবু ও গরম পানি একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে আমাদের দেহের যে হরমোন রয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে| এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে আমরা সকালে খালি পেটে পান করতে পারি| এটিকে সুস্বাদু ও মজাদার করতে আদা ও মধু যোগ করে নিতে পারেন| লেবু ও গরম পানি খাওয়ার ফলে লিভারের উপকারিতা|
আরো পড়ুন:
লেবুতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের লিভারে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বের করে দেই| এগুলো ছাড়া লেবু ও গরম পানি খাওয়ার ফলে আরো কিছু উপকার পাওয়া যায়| এ দুইটা পান করার ফলে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে থাকে|
লেবু ও গরম পানি পাচনতন্ত্রের উন্নতি ঘটায় এ দুইটা মিশ্রণ করে পান করার পর| আপনার মনকে প্রশান্ত করবে স্ট্রেস হরমোন কমানোর পর| শরীরের যে হরমোন ভারসাম্য রয়েছে তাকে ভালো রাখতে সহায়তা করে| আরো যেসব উপকারগুলো রয়েছে সবগুলো পাওয়ার জন্য আমাদের লেবু ও গরম পানি নিয়ম ও সঠিক সময় পান করতে হবে|
হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে শেষ কথা:
হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে শেষ কথা হল| আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বজায় রাখতে| ওপরে উল্লেখিত যে সকল নিয়মগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেই সব নিয়ম গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারলে| আপনিও হরমোনের যে সকল বিপদজনক রোগগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে রক্ষা পাবেন|
আর এই নিয়মগুলো মেনে হরমোনের রোগ গুলোকে খুব সহজে প্রতিরোধ করা যাবে যায়| তবে বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে| এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আশা করছি আপনার ভালো লাগবে| আর এটি পড়ার পর আপনার যদি কোন উপকার হয় তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন| আর কোন কিছু বলার থাকলে কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url