বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে ভ্রমণ করতে অনেকে চাই| আবার অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য | কিন্তু সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য কি কি করতে হয় সে বিষয়গুলো জানেনা| ভিসা
আবেদন, সাশ্রয় ফ্লাইট, কত কিলোমিটার ও কত টাকা লাগবে ইত্যাদি| সকল বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা আলোচনা করব| যে বিষয়গুলো জেনে আপনি সাইপ্রাসে যেতে পারবেন|
পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস ভিসার প্রকারভেদ
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- সাইপ্রাস বছরের কোন সময় গেলে খরচ কম হয়
- সাইপ্রাস যাওয়ার সাশ্রয়ী ফ্লাইট: সঠিক এয়ারলাইন্স
- সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সেরা মৌসুম ও সতর্কতা
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস কত কিলোমিটার
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে মোট খরচ কত
- শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার বিষয় নিয়ে
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস ভিসার প্রকারভেদ
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস ভিসার প্রকারভেদ| সাইপ্রাসে বিভিন্ন ভিসার প্রকারভেদ রয়েছে আর সেটি নির্ভর করে মেয়াদের ওপর| অনেক ধরনের ভিসার প্রকারভেদ রয়েছে| যেমন-টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি| নিচে কিছু ভিসার প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো:-
টুরিস্ট ভিসা: সাইপ্রাসে ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা প্রয়োজন হয় এখানে
টুরিস্ট ভিসার সেখানে টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকে ৩০ থেকে ৮৫ দিন| সেখানে সাধারণত
তারা একবার প্রবেশের জন্য সুযোগ দেই কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সেখানে মাল্টিপল ভিসা
পাওয়া যায়|
বিজনেস ভিসা: ব্যবসায়িক কাজের উদ্দেশ্যে জন্য বা মিটিং কনফারেন্স
ইত্যাদি এ বিষয়গুলোর জন্য বিজনেস ভিসা পাওয়া যায়| এই ভিসার জন্য আপনি বহুবার
সেই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন| তবে আপনাকে ব্যবসায়িক বা প্রমাণপত্রের উপর সেটি
নির্ভর করে| আমি এর মেয়াদ থাকে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত|
ওয়ার্ক ভিসা: সাইপ্রাস কাজের জন্য বা চাকরির জন্য অনেক মানুষ গিয়ে থাকে|
তার জন্য যে ভিসা প্রয়োজন হয় তাকে ওয়ার্ক ভিসা বলে| এটির মেয়াদ নির্ভর করে
আপনার নিয়োগকর্তা এবং যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন তাদের যুক্তির ওপর| তবে কাজের
চুক্তির উপর নির্ভর করে তারা অনুমতি দিয়ে থাকে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে|
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়| ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য কিছু
নিয়ম অনুসরণ করা লাগবে| সেখানে যেতে মূলত চাকরি, পর্যটন, ব্যবসা ও শিক্ষা এর
মধ্যে যেকোন একটা উদ্দেশ্য ভিসা লাগে|
ভিসার আবেদন
সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য তাদের যে দূতাবাস রয়েছে| সেখানে ভিসার আবেদন করা লাগবে
কারণ বাংলাদেশে সাইপ্রাসের দূতাবাস না থাকার কারণে| আপনি পার্শ্ববর্তী দেশ আরব
আমিরাতে ভিসার আবেদন করতে পারবেন| ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর
মেয়াদ ৬ মাস থাকতে হবে| পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ফ্লাইট টিকিটের ফটোকপি ও
ভিসার ফ্রি ইত্যাদি এই সবগুলো লাগবে|
ফ্লাইট বুকিং: আপনি ঢাকা থেকে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য সরাসরি
ফ্লাইট নেই| তার জন্য আপনাকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই বা ইস্তাম্বুল দেশে
যেতে হবে| সেখান থেকে আপনাকে সাইপ্রাসের যাওয়া লাগবে| ফ্লাইট বুকিং করার জন্য
টিকিট এজেন্সির সাহায্য নেওয়া লাগবে|
টিপস: সাইপ্রাসের ভিসা পাওয়ার জন্য ভুয়া তথ্য দেওয়া যাবে না| সব ধরনের
কাগজ সঠিকভাবে দেওয়া লাগবে| দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে আপনাকে
সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য অভিজ্ঞ ট্রাভেল এজেন্টের সহায়তা নিতে হবে|
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া| সেখানে যাওয়ার জন্য তাদের কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে| বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকার কারণে কাছাকাছি অথবা পার্শ্ববর্তী দেশ| ভারতের দূতাবাসে গিয়ে আপনাকে তাদের দেওয়া ধাপগুলো মেনে ভিসার আবেদন করতে হবে| সেখানে আপনি কি উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সে অনুযায়ী এটা নির্বাচন করতে হবে| ভিসা নির্বাচন করতে হবে| যেমন- পর্যটক ভিসা, শিক্ষা ভিসা, ব্যবসা ভিসা, চাকরি ভিসা ইত্যাদি|
ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে| আবেদনের ফরম, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ফ্লাইট বুকিং করার টিকিটের ফটোকপি, এগুলোর সঙ্গে ভিসা ফি জমা দিতে হয়| ভিসার জন্য আবেদন জমা দিতে হবে বাংলাদেশে সাইপ্রাসের জন্য দূতাবাস না থাকার| কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে তাদের দূতাবাস থেকে ভিসা আবেদন দেওয়া দিতে পারবেন|
তার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদন ফরম আপনি দূতাবাসে সরাসরি জমা দিতে
পারেন বা এজেন্টের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন| কিছু অতিরিক্ত টিপস ভিসা আবেদনের
সাইপ্রাসে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়ার সময় সঠিক তথ্যগুলো দিতে হবে| ভুল তথ্য দিলে
আপনার ভিসা বাতিল হবে| অভিজ্ঞ এজেন্টের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন|
সাইপ্রাস বছরে কোন সময় গেলে খরচ কম হয়
সাইপ্রাস বছরে কোন সময় গেলে খরচ কম হয়| সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য আপনার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসাতে সেখানে যাচ্ছেন তার ওপর| তবে আপনাকে সঠিক সময় নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ| যে সময় পর্যটক কম থাকে সে সময় গেলে খরচ কম হবে| মে-আগস্ট এ সময় তে পর্যটকের ভিড় অনেক বেশি থাকে এবং খরচ বেশি হবে|
আরো পড়ুন:
তার জন্য নভেম্বর-মার্চ তুলনামূলক এ সময় আবহাওয়া শীতল থাকে ও পর্যটক সংখ্যা কম থাকে ফ্লাইটের খরচও কম হয়| অফ সিজনে ফ্লাইট বুকিং করলে ভাড়া কম লাগে| আপনি যদি নভেম্বর-মার্চ এই সময় যান তাহলে আবহাওয়া শীতল থাকবে পর্যটক কম থাকবে|
আপনার বাজেট অনুযায়ী ও কম খরচে সেখানে যেতে পারবেন| আর সাইপ্রাস
যাওয়ার খরচ কমানোর জন্য সঠিক সময় হচ্ছে নভেম্বর-মার্চ| তাই আপনাকে যাওয়ার
আগে সঠিক সময়ে ফ্লাইট বুকিং করতে হবে|
সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ফ্লাইট: সঠিক এয়ারলাইন্স
সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ফ্লাইট সঠিক এয়ারলাইন্স| সাশ্রয়ী ফ্লাইট খুজতে মধ্যপ্রাচর এয়ারলাইন্সগুলোতে সাশ্রয়ী ফ্লাইট পাওয়া যায়| তার জন্য আপনাকে আগাম ফ্লাইট বুকিং করে রাখতে হবে| ২-৩ মাস আগে টিকিট বুকিং করলে তুলনামূলক অনেকটাই সাশ্রয়ী ফ্লাইট পাওয়া যায়| আর যদি আপনি অফ সিজনে যেতে চান তাহলে টিকিটের দাম কম হয়|
সেজন্য আপনাকে নভেম্বর-মার্চ এই সময়ে যেতে হবে বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস সরাসরি যাওয়ার জন্য ফ্লাইট নেই| এজন্য আপনাকে পার্শ্ববর্তী যে দূতাবাসগুলো রয়েছে সেখানে ভিসার আবেদন করার পর| এশিয়া মহাদেশের দেশ ডুবাই থেকে আপনি যাওয়ার পর সেখান থেকে টিকিট কাটলে অনেকটাই কমে তারা ফ্লাইট দিয়ে থাকে|
আপনি যদি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে রাখতে পারেন| তাহলে তারা মাঝেমধ্যে
টিকিটের ওপর বিশেষ অফার দিয়ে থাকে কম দামের ফ্লাইট| এর জন্য আপনি কাতার বা
তুর্কিস এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট বুকিং করতে পারেন| সেজন্য আমাদের সাশ্রয়ী ফ্লাইট
ও সঠিক সময় টিকিট বুকিং করতে হবে| তাহলে আমরা তুলনামূলক অনেক কম দামে ফ্লাইট
পাব|
সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সেরা মৌসুম ও সতর্কতা
সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সেরা মৌসুম ও সতর্কতা| সেখানে যাওয়ার জন্য আপনার উপর নির্ভর করে সেরা মৌসুম কারণ আপনি কোন সময় সাইপ্রাসে যেতে চান তার ওপর| তবে আপনি কোন আবহাওয়া পছন্দ করেন| সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের সারা বছরই উপযোগী| এগুলো ছাড়া কিছু সময় রয়েছে যেগুলোতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য খুব ভালো হবে| বসন্তকাল এই সময় সেখানকার আবহাওয়া অনেক আরামদায়ক থাকে| মানুষের ভিড় কম থাকে শরৎকালে আপনি যদি যান|
তাহলে সে সময় আবহাওয়া থাকে ঠান্ডা| কিন্তু আপনি সেই সময় যাওয়ার ফলে অনেকটা সাশ্রয়ী হবে| কিন্তু গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল এই দুটি সময়ে যাওয়া সবার জন্য উপযোগী| সেখানে যাওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা নিয়ে এখন আলোচনা করব| জুন-আগস্ট এর সময়ে সেখানকার তাপমাত্রা অনেকটা গরম থাকে| এর জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও সানস্ক্রিম ব্যবহার করা লাগতে পারে| আপনাকে সবসময়ের জন্য রোদকে এড়িয়ে চলা লাগবে
আরো পড়ুন:
সাইপ্রাসের শীতকালে পাহাড়ে বরফ পড়ে| তার জন্য আপনাকে উষ্ণ কাপড় ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে সব সময় সাবধানে থাকা লাগবে| আপনার ভিসা ও পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্রগুলো রয়েছে| সেগুলোর ফটো কপি করে রাখলে ভালো হয় যাওয়ার জন্য| তাহলে আমরা জানলাম সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য সেরা মৌসুমটি হলো মার্চ-মে অথবা সেপ্টেম্বর-নভেম্বর|
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস কত কিলোমিটার
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস কত কিলোমিটার হবে| সেটি নির্ভর করে আপনি কোন শহরে যাবেন তার ওপর| সাইপ্রাসে মূল শহর হল নিকোশিয়া এটি ভ্রমণের জন্য বেশ ব্যবহৃত হয়ে থাকে| ঢাকা থেকে সাইপ্রাস এর দূরত্ব প্রায় ৭০০০ কিলোমিটার| সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই| এজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই থেকে আপনাকে ট্রানজিট নিতে হবে| সেখানে যাওয়ার সাধারণ সময়কাল প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা|
বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব ৪-৫ ঘন্টা| বিমানে যাওয়ার ফলে খুব দ্রুত সাইপ্রাসে চাওয়া যায়| তবে বিমান ছাড়াও সমুদ্রপথে সেখানে যাওয়া যায় কিন্তু দূরত্ব অনেক বেশি হবে| সময় বেশি লাগবে আনুমানিক সমুদ্রপথে আনুমানিক দূরত্ব ৭০০০-১০০০০ কিলোমিটার এর মতো| সেখানে যেতে সময় লাগতে পারে ১৬ থেকে ২০ দিন এর মত|
তবে আপনি যদি সমুদ্র পথে সেখানে যেতে চান তাহলে আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া
লাগবে| কিন্তু বিমান পথে গেলে খরচ বেশি হয় তবে অনেক দ্রুত ও আরামদায়ক হয়|
তবে আপনি যদি সমুদ্রপথে যান তাহলে খরচ কম হবে কিন্তু অনেক সময় লাগে ও ক্লান্তিকর
হয়|
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র| সেখানে যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়| সাইপ্রাসে আপনি কি জন্য যাচ্ছেন পড়াশোনা, ব্যবসা, পর্যটক ইত্যাদি| আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী সেখানে কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে| ভিসা আবেদনের ফরম আপনাকে সাইপ্রাসের দূতাবাস অথবা ভিসা সেন্টার থেকে নিয়ে আসতে হবে|
আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের বেশি থাকতে হবে| তার সঙ্গে পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে, আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে | এগুলো ছাড়া আরো কিছু অন্যান্য কাগজপত্র লাগতে পারে| আপনার ভ্রমণ এর উদ্দেশ্য অনুযায়ী|
আরো পড়ুন:
যে সকল কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে| তারপর আপনাকে সেগুলো
দূতাবাসে বা ভিসা সেন্টারে জমা দেওয়া লাগবে|| আপনাকে সকল তথ্য সঠিক দেওয়া
লাগবে| এই হেডিংটিতে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র
গুলো লাগবে সে বিষয় তুলে ধরা হয়েছে|
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যেতে মোট খরচ কত
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে যেতে মোট খরচ কত হবে সেটি নির্ভর করে আপনার উদ্দেশ্যের
উপর| তবে সাইপ্রাস যেতে আপনি কোন সময় ফ্লাইট বুকিং করছেন| কোন মৌসুমে
সেখানে যেতে চাচ্ছেন তার ওপরও নির্ভর করে| এতে করে আপনার খরচ কিছুটা কম বেশি হতে
পারে| কিন্তু আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেখানে আপনি কোন শহরে যেতে
চাচ্ছেন সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য প্রধানত ভিসা খরচ, ফ্লাইট খরচ, ও অন্যান্য খরচ
হয়ে থাকে|
ভিসা খরচ: সাইপ্রাসে ভিসা আবেদন ফ্রি হয়ে থাকে প্রায় ৮০০০-১০০০০ টাকা|
তবে আপনি যদি এজেন্সির ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সার্ভিস চার্জ ৬০০০-১০০০০ টাকা|
প্রায় ৩০০০-৫০০০ টাকা খরচ হবে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর
জন্য|
ফ্লাইট খরচ: সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই| সেজন্য সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য আনুমানিক ফ্লাইট খরচ হতে পারে ৫৫,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মত| তবে সেটি নির্ভর করবে আপনার ফ্লাইট বুকিং করার সময় এর উপর| সাইপ্রাসে পর্যটক ভিসার খরচ হয় প্রায় ১,৪০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা ও সেখানে কর্মসংস্থান ভিসার জন্য ৩,০০,০০০ থেকে ৭,৫০,০০০ টাকা লাগে|
শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার বিষয় নিয়ে
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে| এ বিষয়টি নিয়ে উপরে আলোচিত আর্টিকেলটিতে সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য যে সকল বিষয়গুলো| আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী সে সকল বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি| এই আর্টিকেলটির মধ্যে সে সব বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে| যেগুলো সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য আপনার জানতে হবে| আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে, কি কাগজপত্র লাগে|
কত কিলোমিটার, কোন মৌসুমে যেতে হয়, ও কম খরচে সাশ্রয়ী ভাবে যাওয়ার নিয়ম গুলো সমূহে ইত্যাদি| এই আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে| এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন| আপনাদের কিছু বলার থাকলে কমেন্ট করবেন| আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস করতে পারেন|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url