বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি| বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ও লাভজনক উদ্যোগ হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে| ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সম্ভাবনার একটি নতুন উন্মোচন গড়ে তুলছে| কিন্তু এটি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বেশ লাভজনক হচ্ছে|
তবে বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে| যথা: বিজনেসের ধরণ চয়েস, ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি, পেমেন্টের জন্য সিস্টেম সেটআপ ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক কিছু পদ্ধতি|
পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
- অনলাইন বিজনেস কি ও তার প্রেক্ষাপট
- বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার পরিস্থিতি কেমন
- মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস করবেন কিভাবে
- বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি
- অনলাইন বিজনেস নির্বাচন করা ও উপযুক্ত ধারণা গুলো
- অনলাইন বিজনেস শুরু করার সুযোগ সুবিধা গুলো কি
- অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া ও পরিকল্পনা তৈরি করব কিভাবে
- অনলাইন বিজনেসের জন্য বাজার গবেষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণ
- অনলাইন বিজনেসের জন্য আইনগত অনুমতি ও ট্রেড লাইসেন্স
- শেষ মন্তব্য: বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
অনলাইন বিজনেস কি ও তার প্রেক্ষাপট
অনলাইন বিজনেস কি ও তার প্রেক্ষাপট| অনলাইন বিজনেস বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সেবা প্রদান, পণ্য বিক্রয়, তথ্য, শিক্ষা প্রদান এবং ডিজিটাল পণ্য ইত্যাদি| অনলাইন বিজনেসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো| অনলাইন বিজনেসের প্রেক্ষাপট ভিত্তি করে|
মূলত ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর| অনলাইন বিজনেস গুলো খুব দ্রুত আমাদের
বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে| এদিকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোর পাশাপাশি, যেসব ছোট
ব্যবসা গুলি রয়েছে| সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পণ্য
বিক্রয় করছে ও সেবা প্রদান করে চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এসব সোশ্যাল মিডিয়া
গুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়|
ই-কমার্স: ফ্লিপকার্ট, আলিবাবা ও দারাজ এগুলো অনলাইন বিজনেস করার জন্য বেশ
জনপ্রিয় ও বহুমুখী|
স্মার্টফোন থাকার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে| ক্রেতারা যে কোন স্থান থেকে তাদের
প্রয়োজনীয় সকল পণ্য অর্ডার করতে পারেন| অনলাইন বিজনেসের কিছু সুবিধা রয়েছে,
এটি কম খরচে আপনি শুরু করতে পারবেন| ২৪/৭ আপনি এটি চালু রাখতে পারবেন, উন্নত
ইন্টারনেট প্রযুক্তি মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে খুব সহজে পৌঁছানো যায়|
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার পরিস্থিতি কেমন
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার পরিস্থিতি খুব দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে| দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম থাকার| কারণে ক্রেতারা অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করার আগ্রহ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে| ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স শিল্প থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার প্রত্যাশা করছে| বড় ছোট সকল ব্যবসায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে কোন পৌঁছাচ্ছে|
ই-কমার্সের জনপ্রিয় যে সকল প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আপনাদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুলোকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে| যেমন দারাজ, রকমারি, ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসা, ফুডপান্ডা ইত্যাদি| ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেভাবে পেমেন্ট নিয়ে থাকে| বিকাশ, রকেট, নগদ ও মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে লেনদেন করে থাকে|
আরো পড়ুন:
ভবিষ্যতে ইন্টারনেট সুবিধার জন্য গ্রামীণ অঞ্চল গুলোতে অনলাইন ব্যবসার চাহিদা
বেড়ে যাবে| বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে সঠিক নিয়ম নীতি মেনে গ্রাহকদের কাছে
সেবা প্রদান করতে পারলে| ভবিষ্যতে অনলাইন ব্যবসা আমাদের দেশের অনেক উন্নতি
ঘটাবে|
মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস করবেন কিভাবে
মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস করা বর্তমানে অনেক সহজ ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে| মোবাইল দিয়ে বিজনেস করলে সময় ও খরচ কম হয়| তবে আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা অবলম্বন করে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু করেন| তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি সফল হতে পারবেন| তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস করার জন্য কিছু ধাপ রয়েছে|
সেজন্য আপনাকে প্রথমে বিজনেস আইডিয়া নির্বাচন করা লাগবে| আপনার চাহিদা ও দক্ষতা অনুযায়ী একটি বিজনেস ধারণা করতে হবে| যেমন: জামা কাপড় বিক্রি করা, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি| মোবাইল দিয়ে বিজনেস করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটা প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে পারেন| যেমন: ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেবা প্রদান করা, টিকটকে কন্টেন্টের তৈরি করে প্রচার করা|
এবং ইনস্টাগ্রামে ভিডিও, ছবি আপলোড করা ইত্যাদি| ই-কমার্সের কিছু প্ল্যাটফর্ম হল
দারাজ, চালডাল ইত্যাদি মোবাইল দিয়ে বিজনেস করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা রয়েছে|
এতে খরচ কম হয় যে কোন জায়গায় থেকে পরিচালনা করা যায় এবং গ্রাহকদের সঙ্গে খুব
দ্রুত ও সরাসরি যোগাযোগ করা যায়|
বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি
বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করা| বর্তমানে একটি জনপ্রিয় উদ্যোগ হয়ে উঠেছে| আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন| তাহলে খুব সহজেই সফল হতে পারবেন| এর জন্য কিছু ধাপ রয়েছে, সর্বপ্রথম আপনি কি বিজনেস করবেন| সে বিষয়ে আইডিয়া নির্বাচন করতে হবে| আপনার আগ্রহ ও বাজারের চাহিদা এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে অনলাইন বিজনেস শুরু করতে হবে| পণ্য বিক্রয় (কসমেটিক্স, কাপড়) সেবা প্রদান (কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন)
তারপর আপনাকে বাজার গবেষণা করা লাগবে| পণ্য, সেবার চাহিদা ও প্রতিযোগিতা এবং আপনাকে গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা থাকার লাগবে| প্রতিযোগীদের ওয়েবসাইট গুলো আপনাকে পরিদর্শন করতে হবে| আমাদের যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল ট্রেড চলে সেগুলো লক্ষ্য করুন| বিজনেস করার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন| যেমন ওয়েবসাইট, ইন্সটাগ্রাম, ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ও ফেসবুক পেজ সঠিকভাবে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সেবা প্রদান করা লাগবে|
পেমেন্ট এর সিস্টেম ডিজিটাল করে রাখতে হবে যাতে গ্রাহকরা নগদ, বিকাশ ও
রকেটের মাধ্যমে খুব সহজে পেমেন্ট করতে পারে| এ বিষয়গুলো বাদে আরো কিছু বিষয়
রয়েছে| যেমন বিজনেস ও আইনি দিক, গ্রাহকের সেবা প্রদান, উন্নয়নের পরিকল্পনা ও
মার্কেটিং আর প্রচারণা চালানো ইত্যাদি| উপরে উল্লেখিত যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো
সঠিকভাবে পালন করে এবং ধৈর্যধারণ এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসে সফলতা আসবে|
অনলাইন বিজনেস নির্বাচন করা ও উপযুক্ত ধারণা গুলো
অনলাইন বিজনেস নির্বাচন করা ও উপযুক্ত ধারণা গুলো তুলে ধরবো এই হেডিংটির মধ্যে অনলাইন বিজনেস শুরু করার চালু করার আগে আপনাকে সঠিক বিজনেসনি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তবে সেটি নির্বাচন নির্ভর করে আপনার আগ্রহ, দক্ষতা ও বাজারে চাহিদার উপর ভিত্তি করে অন আমরা এখন আমরা উপযুক্ত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ই-কমার্স বিজনেস গুলো হল শাড়ি, টি-শার্ট, থ্রি পিস এগুলো বাদে কিছু ইমিটেশন জুয়েলারি বা হাতের তৈরি জুয়েলারি|
আরো পড়ুন:
এর সঙ্গে আপনি ইলেকট্রনিক পণ্য রয়েছে| যেমন পাওয়ার ব্যাংক, গেজেট, মোবাইল ইত্যাদি এগুলো আমাদের বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়| গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, এগুলো হলো সেবা ভিত্তিক বিজনেস| স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য আপনি দেশি-বিদেশি কসমেটিক ও স্কিন কেয়ার ক্রিম, হেয়ার অয়েল, সাবান শ্যাম্পু ইত্যাদি| এগুলোর অনলাইনে বিজনেস করতে পারেন| এগুলো সঙ্গে সঙ্গে ফুড ডেলিভারি করতে পারেন|
যেগুলোতে গ্রাহকদের চাহিদা অনেক বেশি| যেমন চকলেট, ফাস্ট ফুড, ডায়েট ফুড, কেক, জুস, ইত্যাদি| এগুলোর মধ্যে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদা গুলো বুঝে একটি ধারনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলে| আর সঠিক পরিকল্পনা গুলো মেনে অনলাইন বিজনেস করলে| সেখান থেকে আপনি একটি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন|
অনলাইন বিজনেস শুরু করার সুযোগ সুবিধা গুলো কি
অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা| যেগুলো দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে| অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য শোরুম বা বড় অফিস প্রয়োজন হয় না| শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার, মোবাইল ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে বিজনেস করা যায়| চাইলে আপনি ড্রপ শপিং এর মাধ্যমে বিজনেস চালাতে পারবেন| বিশ্বের যেকোনো স্থানে পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়|
লোকাল মার্কেট ও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের কাস্টমার পাওয়া যায়| দিনে ২৪/৭ খুলে রাখতে হবে তবে এটি ফিজিক্যাল স্টোরে সম্ভব হয় না| সময় সাশ্রয়ের জন্য আপনি বাড়িতে বসে বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন| এবং গ্রাহকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে হবে| সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অর্ডারগুলো ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন|
গ্রাহকরা যদি আপনাকে এসএমএস অথবা কল দিয়ে থাকে| তাহলে খুব দ্রুত সে এসএমএস বা
কলের উত্তর দিতে হবে এবং তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে| অনলাইন বিজনেস আপনি খুব
সহজে অনেক বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পারবেন| কম খরচে নতুন পণ্য ও সার্ভিস এড
করতে হবে| এগুলো সঙ্গে আপনার সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা থাকলে সফল হতে
পারবেন|
অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া ও পরিকল্পনা তৈরি করব কিভাবে
অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া ও পরিকল্পনা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ| এবং এটি আপনার বিজনেসের সফলতার ভিত্তি স্থাপন করে| সে বিষয় নিয়ে নিচে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হল| অনলাইন বিজনেস করার জন্য নিজের দক্ষতা ও আগ্রহ আপনি কিসের প্রতি দক্ষ ও কোন বিষয়গুলিতে বেশি আগ্রহী এর উপর ভিত্তি করে| আপনাকে বিজনেসের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে| আপনাকে বাজার গবেষণা করতে হবে বলতে কার জন্য পণ্য বিক্রয় করবেন|
আপনার প্রতিযোগীরা কিভাবে তাদের বিজনেস করছে সে বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে| আপনি যে পণ্যগুলো বিক্রয় করবেন সেগুলো কেমন হবে এবং তার গুণগতমান কেমন| সেটি কি গ্রাহকের প্রয়োজন বা চাহিদা মেটাতে পারবে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে| আপনার বিজনেসের সঠিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি বিজনেস করার জন্য|
আপনার পুঁজি কেমন ও মাসিক খরচ হিসাব করে| গ্রাহকদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয়
পণ্যগুলো সঠিকভাবে পৌঁছতে পারবেন কিনা| সকল বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করার পর আপনাকে
বিজনেস নির্বাচন করতে হবে| এগুলোর পাশাপাশি আপনার সবচেয়ে বড় যেটি বিজনেস করার
জন্য প্রয়োজন সেটি হল দক্ষতা ও আগ্রহ|
অনলাইন বিজনেসের জন্য বাজার গবেষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণ
অনলাইন বিজনেসের জন্য বাজার গবেষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণ| বিজনেস শুরু করার আগে আপনাকে বাজার গবেষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি| এটি করার মাধ্যমে আপনার বিজনেস সফলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়| এখন আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব| মার্কেটের রিসার্চের মাধ্যমে আপনি সবকিছু জানতে পারবেন|
সেবার চাহিদা কেমন আপনার লক্ষ্য বস্তু গ্রাহকরা কিভাবে কেনাকাটা করে| এবং তারা কি চায় আপনার সম্ভাব্য এদের বয়স, পেশা, অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে| তাদের কেনাকাটার অভ্যাস কেমন তারা কেমন সেবা চায় পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে |অনলাইন বিজনেসে কোন সেক্টর গুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়| ভবিষ্যতে এই সেক্টর গুলোর মাধ্যমে বিজনেসের উন্নতি কেমন|
গ্রাহকরা নতুন প্রযুক্তি কতটা আগ্রহী| বাজার গবেষণা ও লক্ষ্য নির্ধারণের কিছু
উপকারিতা রয়েছে| তার জন্য আপনাকে সঠিক পুনঃ নির্বাচন করে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ
করতে হবে | এবং যে সকল প্রতিযোগীরা রয়েছে তাদের থেকে ভালো কৌশল অবলম্বন করতে
হবে| এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিজনেসে ঝুঁকি না বেড়ে যায়|
অনলাইন বিজনেসের জন্য আইনগত অনুমতি ও ট্রেড লাইসেন্স
অনলাইন বিজনেসের জন্য আইনগত অনুমতি ও ট্রেড লাইসেন্স| অনলাইন বিজনেস চালানোর জন্য আপনাকে আইনগত অনুমতি ও ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে| এটি আপনার বিজনেসের নিয়ম ও বৌদ্ধতা নিশ্চিত করে প্রথমে আপনাকে বিজনেস ধরন নির্বাচন করতে হবে| যেমন একক মালিকানা, কোম্পানি, বা পার্টনারশিপ এগুলোর উপর ভিত্তি করে| পরবর্তী যে পদক্ষেপ রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে হবে|
আরো পড়ুন:
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য স্থানীয় পৌরসভা ও বা সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে আবেদন করতে হবে| এটি আপনার বিজনেসের বৈধতা নিশ্চিত করে এবং প্রশাসনের কাছে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে থাকে |অনলাইন বিজনেস করার ক্ষেত্রে আপনি কোন দোকান অথবা অফিস না রাখলে| স্থানীয় প্রশাসনের এর কাছ থেকে হোম বেসড বিজনেস আবেদন করতে হবে|
এগুলো বাদে আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে| ব্যাংক একাউন্ট, ইউনিক
আইডি ফেন্ডিকেশন নম্বর, বিজনেসের সেবা পণ্য ও নিয়মাবলী, অ্যাপ প্লাটফর্ম
ইত্যাদি| এ সকল বিষয়গুলো মেনে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে| যাতে আপনার বিজনেসের
বৈধতা নিশ্চিত হয়ে থাকে|
শেষ মন্তব্য: বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশে অনলাইন বিজনেস শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে| এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনলাইন বিজনেস শুরু করতে হলে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন| সেই বিষয়গুলি আমরা এখানে আলোচনা করেছি এবং বিষয়গুলোর পাশাপাশি আপনাকে বিজনেস নির্বাচন| আপনার পরিকল্পনা আপনার আগ্রহ ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিজনেস নির্ধারণ করতে হবে|
তাহলে আপনি বিজনেস করার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারবেন| এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে| আর ভালো লাগলে বন্ধু বা সহপাঠীদের সঙ্গে শেয়ার করবেন | আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করে রাখতে পারেন| এই রকম আরও আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url