বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় ও আবেদনের নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া অনেকেরই স্বপ্নের মত| কারণ কানাডায় উন্নত জীবনযাত্রা, নিরাপদ পরিবেশ ও উচ্চমানের শিক্ষার জন্য এটি দেশ জুড়ে পরিচিত| বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অভিবাসনের জন্য কয়েকটি উপায় রয়েছে| যেমন-শিক্ষার জন্য, চাকরির জন্য
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ইত্যাদি| কিন্তু প্রতিটা পদ্ধতির জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হবে| এই আর্টিকেলটির মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় ও কিছু নিয়ম নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব|
পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসার প্রকারভেদ গুলো
- কানাডায় যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ ও প্রস্তুতি
- কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- কানাডায় বসবাসের জন্য শর্তাবলী ও নিয়ম
- কানাডায় কাজের সুযোগ সুবিধা ও যোগ্যতা
- বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
- কানাডায় যাওয়ার জন্য সাশ্রয়ী ফ্লাইট খোঁজা
- কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- বাংলাদেশ থেকে কানাডা কত কিলোমিটার
- শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় নিয়ে
বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসার প্রকারভেদ গুলো
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা আছে| যে ভিসা
গুলো আবেদনকারীর যোগ্যতার উপর নির্ভরশীল| এই ভিসার প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে
আছে পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট ভিসা, কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা, ও বসবাসের জন্য পার্মানেন্ট ভিসা| এই ভিসা গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা
হলো:-
স্টাডি পারমিট ভিসা: অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চমানের শিক্ষার জন্য কানাডা যেতে চান|
স্টাডি পারমিট ভিসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পড়ার
অনুমতি পেয়ে থাকেন| আবেদনকারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি বৈধ লেটার অফার
পায় তার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় ফ্রি দিতে হয়| এই স্টাডি পার্মেন্ট ভিসার
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অথবা তার বাইরে কাজ করার সুবিধা পায়|
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: কর্মসংস্থানের জন্য যারা কানাডা যেতে চায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে তাদের জন্য| এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবার কিছু ধরন রয়েছে| যেমন-ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ও এমপ্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা| কানাডায় কাজের জন্য আবেদনকারীরা কোন নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ না করে| যে কোন জায়গায় কাজ করতে পারে তাকে ওপেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে|
এটি সাধারণত শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয় যারা গ্যাজুয়েশন করেছে এবং কাজ করতে
চাই| আর এম প্লয়ার স্পেসেফিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনকারীরা একজন নিয়োগকর্তা
অধীনে কাজ করার জন্য অনুমতি পাই| এমপ্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
পাওয়ার জন্য| (LMIA) এটির প্রয়োজন হয় যেটা নিয়োগকর্তাদের কাছে
প্রক্রিয়াকৃত|
পার্মানেন্ট ভিসা: কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পার্মানেন্ট ভিসার প্রয়োজন হয়| পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (PR) ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে| তবে যোগ্য আবেদনকারীরা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনুমতি পেয়ে থাকে| PR-এর জনপ্রিয় কিছু প্রোগ্রাম হল:-ফ্যামিলি স্পনসরশিপ ও এক্সপ্রেস এন্ট্রি ইত্যাদি|
কানাডায় যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ ও প্রস্তুতি
কানাডা যাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ ও প্রস্তুতি নেওয়ার আগে| কানাডায় যাওয়ার জন্য
যেসব নিয়ম কানুন ও প্রক্রিয়াগুলো আছে| সে বিষয়গুলো আপনাকে আগে জানতে হবে|
সাধারণত শিক্ষার্থীরা, কর্মজীবীরা ও অভিবাসী অথবা পর্যটক হিসাবে যাওয়ার
জন্য ভিসা প্রয়োজন হয়| এই জন্য প্রতিটি ভিসার আলাদা আলাদা ইন্টারভিউ ও
প্রস্তুতি নেওয়া দরকার| নিজে কিছু সাধারণ ইন্টারভিউ ও প্রস্তুতি টিপস নিয়ে
আলোচনা করা হলো:-
ইন্টারভিউ এর ধরন:
কানাডায় যাওয়ার জন্য কনসুলেট অথবা ভিসা অফিসে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে| এটি
ভার্চুয়ালি হতে পারে অথবা সরাসরিও হতে পারে| সেটি নির্ভর করে ভিসার উদ্দেশ্য
ওপর| যেমন- স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি|
ইন্টারভিউ প্রস্তুতি:
ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে আপনাকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে| যে বিষয়গুলোর উপর আপনি প্রস্তুতি নিবেন সেগুলো হলো নিজের বিষয়ে জানা| নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, আপনার ভিসার উদ্দেশ্য কি এবং ভিসাটি পাবার পর| আপনার পরিকল্পনাটি কি হবে সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে | কারণ ইন্টারভিউতে আপনাকে এরকম প্রশ্ন করতে পারে| দলিলপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করা বলতে|
আরো পড়ুন:
আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোকে আগে সঠিকভাবে সাজিয়ে নিতে হবে| যেমন-আপনার পাসপোর্ট, শিক্ষা শিক্ষাগত যোগ্যতা অথবা কাজের যোগ্যতা চাকরির অফার লেটার ইত্যাদি| আপনাকে ইংরেজি অথবা ফরাসি ভাষা জানতে হবে| কারণ কানাডা ইংরেজি অথবা ফরাসি ভাষা ব্যবহার করা হয়|
তার জন্য ইন্টারভিউতে আপনাকে ইংরেজি অথবা ফরাসি ভাষায় প্রশ্ন করতে পারে| ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় আপনাকে তারা প্রশ্ন করতে পারে| আপনি কি কাজের জন্য সেখানে যাচ্ছেন এবং কার মাধ্যমে যাচ্ছেন সেগুলোও| সেজন্য আপনাকে সকল বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে হবে|
কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অথবা ভিসা আবেদনের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন রয়েছে| তবে ভিসার উদ্দেশ্য বা ধরন(স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ও ইমিগ্রেশন ভিসা) এটা আবার কিছুটা ভিন্ন ও হতে পারে| সাধারণ ভাবে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব| পাসপোর্ট আবেদন করার সময় আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ ন্যূনতম ৬ মাসের বেশি হতে হবে|
আপনাকে কানাডা ভিসায় আবেদন করার জন্য কানাডার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম তুলে তা পূরণ করতে হবে| আর প্রয়োজন অনুযায়ী সকল তথ্য দেওয়া লাগবে| এগুলো ছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে| যেমন-পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ছবি, আর্থিক দলিলপত্র ইত্যাদি|
নির্দেশনা অনুযায়ী আরও অন্যান্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে| কারণ
কানাডা কনসুলেট অফিসে আবেদন করার জন্য তারা বিশেষ কিছু কাগজপত্র চেয়ে
থাকেন| এছাড়া কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্টক্রমের
গাইডলাইন বিষয়ে জেনে নেওয়া ভালো|
কানাডায় বসবাসের জন্য শর্তাবলীও নিয়ম
কানাডায় বসবাসের জন্য অথবা অভিবাসনের জন্য তাদের কিছু শর্তাবলী ও নিয়ম রয়েছে|
যেগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে| তবে এগুলো বিভিন্ন হতে পারে সেটি ভিসা বা
নাগরিকদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে|
কানাডায় অভিবাসনের প্রক্রিয়া: কানাডায় বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে কিছু প্রক্রিয়া হলো: এক্সপ্রেস এন্ট্রি, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা ও পিপিটি| এক্সপ্রেস এন্ট্রি এটি হলো একটি পয়েন্ট ভিত্তিক সিস্টেম যেখানে শুধু যোগ্যদের নির্বাচন করা হয় তারাই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনুমতি পাই| এটি ক্যানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাসের আবেদনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়|
আরো পড়ুন:
এছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা যারা কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য তাদেরকে ছাত্র ভিসা পেতে হয় এবং তারা নির্দিষ্ট সময়কালে পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে পারে| যারা কাজ করার জন্য কানাডায় যেতে চায় তাদেরকে ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হয় এবং তারা কর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করার অনুমতি পায়| পিপিটিতে যারা যোগ্য তাদেরকে নির্বাচন করে থাকে এবং পরবর্তীতে তারা সেখানে বসবাস করতে পারে|
কানাডায় বসবাসীর জন্য শর্তাবলী: কানাডায় বসবাসের জন্য তাদের কিছু শর্তাবলী থাকে| যেমন- ভাষার দক্ষতা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য বীমা, অধিকার ও দায়িত্ব ইত্যাদি| কানাডায় দুটি সরকারি ভাষা প্রচলিত হয় একটি ইংরেজি ও ফরাসি| সেখানে একজন স্থায়ী নাগরিককে তাদের ভাষার ওপর দক্ষতা বহন করতে হবে| এটি বিশেষ করে বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় লাগে| কানাডায় নাগরিকদের কাজ করার জন্য তাদের অধিকার থাকে|
কিন্তু তারা যদি চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের যে নির্দিষ্ট শর্তাবলীগুলো পালন
করতে পারে তাহলে| কানাডায় অভিবাসনের সময় নাগরিকদেরকে তাদের যে স্থায়ী
প্রথা আইন ও নীতিমালা গুলো রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে| আর সেখানে স্বাস্থ্য
সেবা পাওয়ার জন্য সেখানকার নাগরিকদেরকে স্বাস্থ্য বীমা নিবন্ধন করে রাখতে
হবে|
কানাডায় কাজের সুযোগ সুবিধা ও যোগ্যতা
কানাডায় কাজের সুযোগ সুবিধা গুলো দক্ষতার ওপর নির্ভর করে সেটি বিভিন্ন
সেক্টরে হতে পারে| কিন্তু যারা দক্ষ কর্মী তাদের জন্য কানাডায় বেশ সুযোগ-সুবিধা
দেওয়া হয়| তার মধ্যে নিচে কিছু দিক আলোচনা করা হলো:-
- কানাডায় কাজের সুযোগ সুবিধা:
কানাডাতে দক্ষ কর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ দেওয়া হয়| আইটি সফটওয়্যার ডেভেলপার, সাইবার সিকিউরিটি এসব দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেশি| আরো রয়েছে স্বাস্থ্য সেবার জন্য ডক্টর অথবা নার্স এরা যদি প্রফেশনাল হয়ে থাকে| সেজন্য এদেরকে বেশ বড় সুযোগ দিয়ে থাকে| আরো রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবহন ও ব্যবসায়ী| তারা মেকানিক্যাল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে তাদের চাহিদা ও আগ্রহ অনেক বেশি হয়ে থাকে|
সেখানে আপনি যে সুবিধাগুলো পেতে পারেন, কানাডায় যদি আপনি চাকরি করেন| তাহলে তারা বিশেষভাবে আপনাকে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকবে| কানাডাতে কর্মীদের অথবা কর্মচারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয় এবং ন্যায্য আচরণ করা হয়| তাদেরকে বেশিরভাগ ভালো পরিমাণের বেতন দিয়ে থাকেন এবং সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়|
তাদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে| সেখানে স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে তারা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে| চিকিৎসার পর আপনার ব্যয় যাতে কম হয় সেই দিকে সহায়তা করে থাকে| পারিবারিক সমস্যার জন্য উপযুক্ত ছুটি| আপনি প্রশিক্ষণের সুযোগের মাধ্যমে ডেভলপমেন্ট করে আপনার ক্যারিয়ার আরো উন্নত করতে পারবেন|
- যোগ্যতা:
কানাডাতে কাজ পাবার জন্য তাদের কিছু নিয়ম-নীতি, শর্তাবলী ও যোগ্যতার প্রয়োজন আছে| শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ডিপ্লোমা বা ডিগ্রীর প্রয়োজন আছে যেমনটা ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তিগত ডিগ্রি| এছাড়া আরো কিছু যোগ্যতার কথা তারা উল্লেখ করেছেন কর্মদক্ষতা আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে সেটি আপনাকে কাজ পাবার সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেই|
কানাডাতে ভাষা দক্ষতা থাকা লাগবে সেখানে ইংরেজি ও চেঞ্জ ট্রেঞ্চ ট্রেন ভাষায় দক্ষ থাকলে তার দ ভাষা দক্ষতার জন্য IELTS প্রমাণ নিয়ে থাকে| তারা কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতা জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষাগত ও স্বাস্থ্য এবং কানাডিয়ান লাইসেন্সের এগুলোর প্রয়োজন পড়তে পারে|
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়টি অনেকেই জানেনা| এই হেডিং টির মধ্যে আমরা সে বিষয়টি নিয়ে কিছু আলোচনা করব| বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার টাকার পরিমান কত লাগতে পারে সেটি নির্ভর করে| আপনি কোন প্রক্রিয়ার ভিসার মাধ্যমে সেখানে যেতে চাচ্ছেন তার ওপর| কারণ প্রতিটি ভিসার আলাদা আলাদা মূল্য রয়েছে| তবে আপনি যদি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তার জন্য সেখানকার প্রাথমিক কিছু খরচ রয়েছে|
আরো পড়ুন:
সেখানে প্রধান ভিসা আবেদন কারীর খরচ হতে (প্রায় ১১০,০০০ -১২০,০০০ টাকা) পারে| তবে আপনি যদি আপনার জীবন সঙ্গিনী ও সন্তান অথবা পরিবারের অন্য কাউকে নিয়ে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে তাদের কম খরচ লাগবে| এছাড়া আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে| সেগুলো হল ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়ার পরীক্ষা খরচ, শিক্ষাগত যোগ্যতার খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিকেল করার খরচ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ফ্লাইটের টিকিট ইত্যাদি|
সব মিলিয়ে কানাডায় যাওয়ার জন্য উপরের উল্লেখিত খরচের উপর ভিত্তি করে| একজনের
আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা| তবে যদি আপনি পরিবারসহ যাওয়ার জন্য
আবেদন করে থাকেন তাহলে খরচ বাড়তে পারে| কিন্তু কানাডায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া
খরচ কিন্তু কম বেশি হতে পারে| সেজন্য তাদের ওয়েবসাইট থেকে ইমিগ্রেশন পরামর্শকদের
সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন|
কানাডায় যাওয়ার জন্য সাশ্রয় ফ্লাইট খোঁজা
কানাডায় যাওয়ার জন্য সাশ্রয় ফ্লাইট খুঁজতে হলে আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করা লাগবে| এই কৌশল গুলো অবলম্বন করে আপনি তুলনামূলক কম খরচে টিকিট পেতে পারেন| সঠিক সময়ে ফ্লাইট বুকিং করতে হবে| অর্থাৎ যাওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে ফ্লাইট বুকিং করতে হবে, এবং সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলিতে বুকিং করতে হবে|
তাহলে তুলনামূলক কম খরচ হবে, এবং এই দিনগুলোতে যাত্রী কম থাকে| তবে আপনি যদি সরাসরি ফ্লাইট বুকিং করে থাকেন তাহলে খরচ বেশি হবে| লে ওভার নিয়ে টিকিট কেটে গেলে খরচ কম হয় আপনি ইমেইল এলার্ট সেট করে রাখতে পারেন| কারণ কিছু কিছু ওয়েবসাইট ইমেইল এলার্ট সেট করে রাখলে যখন টিকিটের দাম কমে|
তখন তারা তা জানিয়ে দেই এজন্য আপনাকে সাশ্রয়েই ফ্লাইট খোঁজার জন্য, যে সকল
নিয়মগুলো রয়েছে| সেগুলো মেনে এবং সঠিক সময়ে তা অবলম্বন করলে| তুলনামূলক ভাবে
কম খরচে আপনার লক্ষ্যে আপনি যেতে পারবেন| এছাড়া এয়ারলাইনের যে ওয়েবসাইট গুলো
রয়েছে, সেগুলো নিয়মিত চেক করতে পারেন|
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া| বাংলাদেশ থেকে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য বেশ কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে| কানাডায় প্রথমে আপনাকে এমন একটি (DLI) নির্বাচন করা লাগবে| যেটিতে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে অনুমোদন দেওয়া হয় | আর আপনাকে নিজের যোগ্যতার সাথে মিল করিয়ে প্রোগ্রাম বাছাই করা লাগবে, ও ভর্তির জন্য যে সকল যোগ্যতা প্রয়োজন সেগুলোকে পূরণ করতে হবে|
যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ বাছাই করে আবেদন করবেন| তারপর ভর্তি নিশ্চিত হলে সেখান থেকে আপনাকে একটি Letter Of Admission দেওয়া হবে| এটি ভিসা আবেদনের সময় কাজে লাগবে, কানাডা ভাষার উপর দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে| সেখানে তারা কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে থাকে, সেখানে যে নথিপত্রগুলো আপনাকে দেওয়া লাগবে|
একটি বৈধ পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সার্টিফিকেট ও আপনি সেখানে পড়াশোনা করার জন্য| পড়াশোনা ও জীবনযাপনের জন্য যে খরচ পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থের প্রমাণ দেওয়া লাগবে| এটিকে বলে আর্থিক সুরক্ষা আপনাকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করা লাগবে|
আরো পড়ুন:
এই সবশেষে আবেদন জমা দেওয়া হয়ে গেলে সেখানে ভিসা প্রসেসিং হতে দুই থেকে ছয়
সপ্তাহ সময় লাগে| এবং তারা আপনাকে Study Permit একটি চিঠি দিবে| যেটা সেখানে
গিয়ে Study Permit ভিসা হিসাবে কাজে লাগবে| এই সকল কৌশল গুলো অবলম্বন করে
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের কাজটি সহজ হবে|
বাংলাদেশ থেকে কানাডা কত কিলোমিটার
বাংলাদেশ থেকে কানাডা কত কিলোমিটার| সেটা নির্ভর করে আপনি কানাডার কোন শহরে যেতে চাচ্ছেন তার ওপর| যেহেতু বাংলাদেশ ও কানাডা অনেক দূরত্বে অবস্থিত| একটি দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য কোন স্থল পথ নেই| তাই আপনাকে বিমান পথে এই পথ পরিমাপ করা লাগবে| পৃথিবীর দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ থেকে কানাডা উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনাকে আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মেরু অঞ্চল দিয়ে যেতে হবে|
তার জন্য বিমান পথে সরাসরি যাওয়া লাগবে শহর থেকে আরেক শহরের দূরত্ব নির্ভর করে|
বিমান উড়ান এর পথের উপর ভিত্তি করে, বিমান যদি উত্তর মেরু অঞ্চলের পাশ দিয়ে কানাডাতে যায় তবে তার দূরত্ব কমবে| আর দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থিত বাংলাদেশ থেকে উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত কানাডায় যাওয়ার দূরত্ব হবে (প্রায় ১১,৫০০-১৩,০০০ কিলোমিটার)| এটা আবার কম অথবা বেশি হবে সেটি নির্ভর করে আপনি কোন শহরে যাবেন তার ওপর|
শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় নিয়ে
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। পড়াশোনার জন্য, কাজের জন্য ও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য| সেখানে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ভিসা ও ভ্রমণের পদ্ধতি পাবেন| প্রতিটা ভিসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও শর্তাবলী পূরণ করা লাগে| এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়া লাগবে| এ পুরো আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার যে সকল বিষয় গুলো|
আপনার জানা প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি আশা করছি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন| যে কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনার কি কি যোগ্যতা ও শর্তাবলী পূরণ করতে হবে| আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ফলো করে রাখতে পারেন| এরকম সব আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে| এত সময় ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ|
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url