শরীরের হাড় শক্ত করার উপায়
শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত রাখতে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম| কিন্তু একটা বয়সের পর হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে| যেখান থেকে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়| শুরু থেকে যদি হাড়ের যত্ন নেওয়া যায় তবে এই ধরনের সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব|
- দই খেলে হাড় মজবুত হয়
- ভিটামিন ডি খেলে হাড় মজবুত হয়
- ডুমুর খেলে হাড় মজবুত হয়
- চিজ খেলে হাড় মজবুত হয়
- দুধ খেলে হাড় মজবুত হয়
- পালং শাক খেলে হাড় মজবুত হয়
- কলা খেলে হাড় মজবুত হয়
- কমলার রস খেলে হাড় মজবুত হয়
- বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়
- লেখকের শেষ কথা শরীরের হাড় শক্ত সম্পর্কে
দই খেলে হাড় মজবুত হয়
দই খেলে হাড় মজবুত হয়| দই আমরা প্রায় সকলেই খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা জানি না যে দই খেলে হাড় মজবুত হয়| আর এক বাটি দয়ে থাকে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া| দই একটি প্রোটিনের ভালো মানের উৎস দই হলো দুগ্ধ জাত পণ্য| দুধের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায় আর মজবুত রাখার জন্য লাইভ স্টাইলেও নজর দেওয়া জরুরী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা| এক্ষেত্রে তাদের মত, স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত চর্চা করা খুব জরুরী|
এরোই সঙ্গে অত্যাধিক ধূমপান কিডনির সমস্যার সঙ্গে হাড়ের ও ক্ষতি করে| হাড়ের ক্ষয় দূর করা এবং সুস্থ থাকার জন্য ধূমপান এবং অবশ্যই ত্যাগ করা দরকার| ধূমপান শুধু আমাদের হাড়ের ক্ষতি সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে| তাই আমাদের হাড়ের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত| আর আমাদের বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার যেমন দই হলো একটি দুগ্ধ জাতীয় খাবার এইজন্য আমাদের ভিটামিনযুক্ত ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলো নিয়ম মেনে খেতে হবে|
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে দই কখন খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়| প্রায় বেশিরভাগ মানুষ দই দিনের বেলা খেয়ে থাকে| আবার কেউ রাতে দই খেতে অনেক পছন্দ করে| কিন্তু পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে দই খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে বিকেল বেলায়| বিকেল বেলায় দই খেলে হজম শক্তি ঠিক থাকে, দই কখনো আমরা খালি পেটে খাব না কারণ দই খালি পেটে খেলে পাকস্থলীর উপকারী এসিড ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে থাকে এবং তাদের অকেজো করে দিতে পারে|
ভিটামিন ডি খেলে হাড় মজবুত হয়
ভিটামিন ডি খেলে হাড় মজবুত হয়| কারণ ভিটামিন ডি হাড় মজবুত করতে অনেক রকম ভাবে সহায়তা করে| কিন্তু খাদ্য থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া আমাদের পক্ষে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে| তাই হাড়ের মজবুতির জন্য আমরা সূর্যের আলো থেকে এই ভিটামিন ডি পেতে পারি| হালকা গরম সূর্যের আলোতে ভোরবেলা হাটা সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে| আমরা প্রতিদিন সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারি|ভিটামিন ডি যুক্ত ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়| সেগুলো শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত|
আরো অনেক এমন খাবার আছে যে তা খেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেমন পিয়ারা পেয়ারা খেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়| এ পেয়ারা খেলে দাঁতও মজবুত হয় তাই আমরা ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পিয়ারা কেউ খেতে পারি ইত্যাদি। গবেষকদের মতে আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে। ডিম হলো এমন একটি খাবার যাতে অল্প পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে|
তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ তাদেরকে ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য দুধ হলো একটি ভালো মানের খাবারের উৎস। দুধ হাড়,দাঁত,নক,চুল ও ত্বকে মধ্যে পুষ্টি যোগায়| রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে চাঙ্গা করে শরীরের হাড় মজবুত রাখে, এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখতে অথবা ডায়েট করতে দই, দুধ, চিজ, ছানা ইত্যাদি| ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম পাওয়ার জন্য পালং শাক খেতে হবে| বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ রয়েছে যাতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়|
যেমন-রুপচান্দা, টুনা, চিংড়ি মাছেও অনেক ভালো পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে এছাড়াও তেলাপিয়ার মত তেল যুক্ত মাছ টির মধ্যে রয়েছে অনেক ভালো পরিমাণ ভিটামিন ডি| এছাড়া ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য আরো কিছু খাবার রয়েছে যেমন একটি হলো মাশরুম মাশরুমে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন ডি ও পুষ্টিগুণ| কারণ মাশরুম সূর্যের আলোয় বড় হয়ে থাকে এর জন্য এর মধ্যে অনেক ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য শরীরকে সুস্থ রাখতে হাড়কে শক্ত রাখতে আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে|
ডুমুর খেলে হাড় মজবুত হয়
ডুমুর খেলে হাড় মজবুত হয়| ডুমুর হচ্ছে একটি পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার যা হাড় মজবুত করতেও শক্ত রাখতে সাহায্য করে| ডুমুরে রয়েছে ফাইবার এবং পটাশিয়ামে মত ভিটামিন| ফাইবার এবং পটাশিয়ামে ভরপুর এম মিষ্টি ডেজার্টের মতো ফলটি উপকরণ শুকনো ডুমুরের প্রতি এক কাপে 242 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে| এই আঠালো কল আপনার হারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে| এই খাবারটির আরো পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা পেতে চাইলে|
এই আঠালো কল আপনার হারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে| এই খাবারটির আরো পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা পেতে চাইলে| এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল স্থির রাখতে এবং পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে| ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় এটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে| তাই আপনার হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী রাখতে এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে ডুমুর ফলটি অনেক গুরুত্ব রাখে| তাই অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের সঙ্গে ডুমুরকে খেতে পারেন।
আদিকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় ডুমুরকে ব্যবহার করা
হচ্ছে| কাঁচা ও পাকা ফল, ডুমুরের পাতা, মূল ও বাকল ব্যবহার করা
হচ্ছে| উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, শরীরের হাড় গঠন মজবুত করে| এ ফল খাওয়ার
কিছু অপকারিতা রয়েছে যাদের পিত্র থলি এবং কিডনির রোগ আছে তাদেরকে
অনেক কম পরিমাণে ডুমুর খেতে হবে| এতে থাকা অক্সালট ক্ষতি করে| এই ফল
শরীরকে গরম করে তাই ডুমুর গরম কালে খুব বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়|
চিজ খেলে হাড় মজবুত হয়
চিজ খেলে হাড় মজবুত হয় কিন্তু অনেকেই জানেনা চিজ খেলে হাড় মজবুত ও শক্ত হয়| বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও বাড়ে থাকে সে ক্ষেত্রে শরীরের হাড় দুর্বল হয়ে যায়| বিশেষ করে মহিলাদের ৩০ থেকে ৩৫ বছর মহিলাদের হাড় ক্ষয় বেশি দেখা দেয়| এই সময়ে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরী| তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন চিজ খাওয়ার|আপনার হাড় ক্ষয় হওয়াকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে|কিন্তু অনেকেই জানেনা চিজ কিভাবে তৈরি হয় এবং কিভাবে খেতে হয় চিজ হলো এক ধরনের প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার।
সাধারণত মহিষ,গরু, ছাগল এবং ভেড়ার দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় চিজ। দুধের প্রধান প্রোটিন কোসেন বা জমাট বাধানোর মাধ্যমে তৈরি করা হয় চিজ। দুধের এনজাইম(রেগেট)যোগ করার ফলে দুধ জমাট বদ্ধ হয় এবং চিজে পরিণত হয়ে থাকে। এবার চলুন জেনে নিয়ে চিজ খেলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে, চিজ প্রায় সবার পছন্দের একটি খাবার চিজ দিয়ে তৈরি এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো আমরা খেয়ে থাকি| যেমন বার্গার ,পিজ্জা ইত্যাদি এই খাবারগুলো প্রায় সবার পছন্দের খাবার|
এটি খেলে যেমন অনেক উপকার পাওয়া যায় তেমনি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কোন খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিত নয় এটি খুব বেশি খাওয়ার ফলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যদি মুখ জ্বালা ঠোঁটের পাশে অথবা মুখের কোন জায়গায় কোনরকম ভাবে জালা অনুভূতি ফুলে যাওয়া অথবা চুলকানি হয়ে থাকে এর মানে হচ্ছে আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন সেটিতে এলার্জি আছে এর জন্য সকল বিষয়গুলো জেনে যে কোন খাবার খাওয়া উচিত|
দুধ খেলে হাড় মজবুত হয়
দুধ খেলে হাড় মজবুত হয় দুধ হল একটি পানি জাতীয় খাবার দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ও আমিষ যুক্ত খাবার ও আশ্চর্যজনক বাহন এটি| এক কাপ দুধে প্রস্তাবিত ১০০০ মিলিগ্রামের ২৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে| দুধ শুধু আপনার হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করার পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়| নিয়মিত দুধ খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে|
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে মস্তিষ্ক ভালো রাখে| আপনি যদি প্রতিনিয়ত রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খান|তাহলে আপনার হার মজবুত ও শক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মস্তিষ্ক অনেক কাজে লাগে| দুধ খেলে আপনার শরীরে যে সকলকে ক্যালসিয়াম তৈরি হয় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং তা দূর করতে সহায়তা করে।দুধে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ উপাদান ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-৬ আয়রন, ক্যালসিয়াম,নিয়াসিন,পটাসিয়াম,ভিটামিন কে, প্রোটিন সহ আরো অনেক বিভিন্ন পুষ্টিগুণ উপাদান।
কিন্তু আপনারা জানেন কি, সবার স্বাস্থ্যের জন্য দুধ উপকারী নয়। এই খাবারটি বিভিন্ন ধরনের কঠিন রোগের কারণ হতে পারে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা ডায়াবেটিস,আলঝাইমার ও হৃদরোগ এর মতো কঠিন রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে এই খাবার। দুধে রয়েছে ল্যাকটোজ যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিক, পেট খারাপ, ও ডায়াবেটিসের মত রোগের সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু গবেষকদের গবেষণার মতে দুধ খাওয়ার কারণে বেশ কিছু ক্যান্সার হয়ে থাকে। এর জন্য সঠিক নিয়মে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ খেতে হবে।
পালং শাক খেলে হাড় মজবুত হয়
এবার আমরা আলোচনা করব পালং শাক খাওয়ার কিছু নিয়ম নিয়ে| পালং শাক অনেক ভাবে খাওয়া যায়| তার মধ্যে রান্না করে, জুস করে ইত্যাদি| তবে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্নভাবে এই পালং শাক খাওয়ার বিষয়ে বলেছেন| যেমন পালং শাক ভেজে খাওয়া যায়, সিদ্ধ করে খাওয়া যায় এতে স্বাভাবিক মাত্রায় পুষ্টি গুণ বেশি পাওয়া যায়| গবেষকরা আরো পরামর্শ দিচ্ছেন যে রান্না না করেও পালং শাক খাওয়া যায় এই পালং শাক সালাদে খাওয়া যায় অথবা সুমতি তৈরি করেও খাওয়া যায় এর সঙ্গে যদি আমরা আরো কিছু খাবার যোগ করে|
তাহলে আরো বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে এর সঙ্গে ক্রিম অথবা দুধ যোগ করলে খাবারটি অনেক সুস্বাদু হয়| পাশাপাশি ভিটামিন এ ও কে তে ভরপুর পালং শাক| পালং শাকের বীজ কৃমি ও মূত্রের রোগ সারাই ও এর কচি পাতা ফুসফুস কণ্ঠনালীর সমস্যা| শরীর জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে| জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই পালং শাক বিশেষ উপকারী| পোড়া ঘায়ে কত স্থানে ব্রণে বা কোথাও ব্যথায় কালচে হয়ে গেলে টাটকা পালং পাতার রসের পোলাপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়|
কলা খেলে হাড় মজবুত হয়
কলা খেলে হাড় মজবুত হয়| কলা হলো পৃথিবীর অন্যতম একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় ফল| কলায় রয়েছে অনেক প্রোটিন ও ভিটামিন| কলা একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ| একটি মাঝারি সাইজের কলায় রয়েছে দশ গ্রাম সাতাশ গ্রাম কার্বোহাইডেট, এক গ্রাম প্রোটিন, চৌদ্দগ্রাম চিনি ও ১০৫ গ্রাম ক্যালরি| কলা খেলে আমাদের উপকারে আসে সেগুলো হল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, শক্তি বৃদ্ধি করে, মেজাজ ভালো রাখে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে|
ওজন কমাতে সহায়তা করে ও কিডনি সুস্থ রাখে, এবং শরীরকে সুস্থ ও হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে| যাদের শরীর দুর্বল এবং পুষ্টিগুণ কম থাকে তাদেরকে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কলা খাওয়া উচিত তাহলে শরীরের দুর্বলতা দূর করবে হাড়কে শক্ত রাখবে| রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা হাড়কে শক্ত রাখতে সহায়তা করে এবং হাড়কে মজবুতও রাখে| কলাই উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে নিয়মিত|
কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে| কলা খেলে আরো অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়| কলা প্রতিটি মানুষের নিয়মিত খাওয়া উচিত তাহলে কলায় থাকা যে পুষ্টিগুলো আছে সেগুলো পাবে| কলা অনেক ধরনের রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে যেমন- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, শক্তি বৃদ্ধি করে, মেজাজ ভালো রাখে, ওজন কমাতে সহায়ক, ত্বকের যত্ন ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ইত্যাদি|
কমলার রস খেলে হাড় মজবুত হয়
কমলার রস খেলে হাড় মজবুত হয় একটি তাজা কমলার রস শরীরকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সরবরাহ করে| যাহারকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে নিয়মিত কমলালেবুর রস খেলে অস্টি ওপ রোসিসের ঝুঁকিও কিছুটা কমানো যায় বলেও বলা হয়| কমলালেবুর রস ত্বকের জন্য অনেক উপকারী এবং এর কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে|
কমলার রস খাওয়া ফ্রি রেডিকেল কার্যকলাপ কমাতে সাহায্য করে|যা ত্বকের বার্ধক্য বলিরেখা এবং নিস্তেজ ত্বকের কারণ হয়| কমলার রসের তুলনায় ভিটামিন সি এর উচ্চ পরিমাণ আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে| কমলার রস খাওয়ার কিছু অপকারিতা ও রয়েছে| কমলার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রচুর পরিমাণে কমলা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে|
কমলালেবুর উচ্চ এসিড উপাদান অম্বল এবং বদহজমের কারণ হতে পারে বেশি কমলা খেলেও
ডায়াবেটিস হতে পারে| কমলা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস তবে বেশি পরিমাণে কমলা
খেলে পেট খারাপ হতে পারে| তাই আমরা সকল নিয়মকানুন মেনে কমলার রস খাব|
বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয়
বাদাম খেলে হাড় মজবুত হয় পুষ্টিকর খাদ্য গুলোর মধ্যে বাদাম একটি ব্রেকফাস্টে বা স্ন্যাকস হিসেবে অন্য কোনও খাবার না খেয়ে এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন| বাদামে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে| যাহার মজবুত রাখতে সাহায্য করে| বাদামের এই এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার বাধ্য এবং মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে|
গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৮৪ গ্রাম বাদাম খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেড়ে যায় ভিটামিন ই ফ্ল্যাভনয়েডস, ফিনোলিক এসিড এবং ফাইটোস্টেরল সবই বাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে| বাদামের কিছু অপকারিতা ও রয়েছে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড প্রধানত ওমেগা-৬|
ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড যখন বেশি পরিমাণে থাকে তখন ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড বিক্রিয়া করে টক্সিক হয়ে যায়| ওমেগা ৬ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হলে তা হার্টের রোগ, আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস এলার্জি ও এজমা রোগ সৃষ্টি করে| তাই আমাদের সকল নিয়ম-কানুন মেনে বাদাম খেতে হবে|
লেখকের শেষ কথা শরীরের হাড় শক্ত সম্পর্কে
শরীরের হাড় শক্ত করা নিয়ে লিখা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে
আপনি সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন আমি আশা করছি। আজকের এই
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন| যে কোন খাবারগুলো কিভাবে খেলে আপনার শরীর
সুস্থ রাখবে এবং আপনার শরীরের হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে তুলবে| এমনই সব নতুন
নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করে রাখতে পারেন।
এস এস ড্রিম আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url